আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেশটিতে চীনা রাষ্ট্রদূত জেং জেগুয়াংকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
জিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে সরব হওয়া ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাদের বিরুদ্ধে বেইজিংয়ের নিষেধাজ্ঞার জবাবে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।-খবর রয়টার্সের
গেল মার্চে ব্রিটেনের ৯ রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও শিক্ষাবিদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চীন। উইঘুর মুসলমানদের ওপর চীনাদের আচরণ নিয়ে ব্রিটেনের এই নাগরিকেরা মিথ্যা ও গুজব ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এ কারণে পার্লামেন্টের একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে জেং জেগুয়াংকে বিরত রাখতে পদক্ষেপ নিয়েছেন হাউস অব লর্ডসের স্পিকার জন ম্যাকফল ও হাউস অব কমনসের স্পিকার লিন্ডসে হয়লি।
হয়লি বলেন, বিভিন্ন দেশ ও আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে আমি নিয়মিতই বৈঠকের আয়োজন করি। কিন্তু চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে হাউস অব কমনসে বৈঠক করা আমার জন্য যথাযথ মনে হয়নি। কারণ তার দেশ আমাদের আইনপ্রণেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে।
তবে চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে এমন উদ্যোগের সমালোচনা করা হয়েছে। সেখান থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুদেশের নাগরিকদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য চীন-ব্রিটেনের মধ্যকার সহযোগিতা ও স্বাভাবিক বিনিময়কে বাধাগ্রস্ত করতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের এই পদক্ষেপ কাপুরুষোচিত ও ঘৃণ্য।
হয়লি বলেন, তিনি চীনা রাষ্ট্রদূতকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে যাচ্ছেন না। যতদিন আইনপ্রণেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে, ততদিন এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসিলমদের ওপর সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে যুক্তরাজ্য প্রথমবারের মতো চীনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। চীন সঙ্গে সঙ্গেই এর জবাবে ৫ ব্রিটিশ এমপিসহ আরও ২ জনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া এই ব্রিটিশ এমপিরা হলেন, ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের ইয়ান ডানকান স্মিথ, টম তুগেন্দাত, নুসরাত গণি, নীল ও’ব্রায়ান এবং টিম লাফটন।