রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন

শিশুর গোসলে বাধা নেই শীতে

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট সময় : 11:35 am, রবিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৯

babyসিএনআই নিউজ : ঠাণ্ডা মানেই শিশুদের নিয়ে বাড়তি শঙ্কা, এই বুঝি বাচ্চার সর্দি হলো। শিশুর গোসল নিয়ে তো শঙ্কা আরও বেশি। কারণ শীতে গোসল করালে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে বলে মনে করেন অনেকেই। আসলে কিন্তু সরাসরি ঠাণ্ডার কারণে বাচ্চাদের সর্দি হয় না। যদি ঠাণ্ডাতেই সর্দি হতো, তবে তো শীতপ্রধান দেশের শিশুরা বেশিরভাগ সময় অসুস্থই থাকত।

মূলত ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ভাইরাসের কারণে বাচ্চাদের সর্দি-কাশি বেশি হয়। তাই শীতে ঠাণ্ডা থেকে বাঁচার পাশাপাশি রোগ-জীবাণু থেকে বাচ্চাকে দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। রোগ-জীবাণু বিশেষ করে ভাইরাস থেকে শিশুদের মুক্ত রাখার সহজ উপায় হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। আর পরিচ্ছন্ন রাখতে গেলে শিশুকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে। শীতে সোনামণির নিয়মিত গোসলে কোনো বাঁধা নেই।

শীতে বাচ্চা গোসলের পানিটা কুসুম গরম হওয়া বাঞ্ছনীয়। গোসল করানোর আগেই অবশ্য দেখে নেওয়া উচিত পানি বেশি গরম হয়ে গেল কি-না। এই পানিতে এন্টিসেপ্টিক বা অন্য কিছু দেওয়ার প্রয়োজন নেই। গোসলের পর সর্ষের তেল দেওয়ারও দরকার নেই। অবশ্য আগে তেল মাখলে ক্ষতি নেই। বাচ্চাদের গোসলে বেশি সময় নেওয়া উচিত নয়। পাঁচ থেকে সাত মিনিটেই এটি সম্পন্ন করতে হবে। বড় বাচ্চারা যখন বাথরুমে ঢোকে তখন বের হতেই চায় না। তারাও যেন বেশি সময় না নেয়, সেটি খেয়াল রাখুন।

শীতে শিশুদের প্রতিদিন গোসল করানো গেলেও যদি শৈত্যপ্রবাহের কারণে খুব বেশি ঠাণ্ডা পড়ে, তবে ওই ক’টা দিন ঘনঘন গোসল না করালেও চলে। এ সময় গোসল না করিয়ে পাতলা কাপড় পানিতে ভিজিয়ে শরীরটা ভালোভাবে মুছে দিন।

সদ্যজাত শিশুর জন্মের প্রথম দু’দিন গোসল করানো উচিত নয়। এর পর থেকে গোসল করাতে পারেন। অন্যদিকে আমেরিকান একাডেমি অব পেডিয়েট্রিক্সের নির্দেশনা হলো, শিশুকে প্রথম বছরে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার গোসল করালেই চলে।

তবে প্রিমেচিউর বাচ্চা বা সময়ের বেশ আগেই যারা জন্ম নিয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এবং যাদের জন্মের সময় ওজন কম ছিল তাদের ক্ষেত্রে গোসলের ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বাচ্চা অসুস্থ থাকলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই রকম আরো জনপ্রিয় সংবাদ
© All rights reserved © 2017 Cninews24.Com
Design & Development BY Hostitbd.Com