ইকুয়েডরের মডেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ল্যান্ডি পারাগা গয়বুরোকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। দিনে দুপুরে প্রকাশ্যেই হত্যা করা হয় এই জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বকে।
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া মানুষের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। দৈনন্দিন জীবনের সুখ-দুঃখের মুহূর্তগুলো ক্যামেরাবন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা আজকের দিনে অত্যন্ত সাধারণ একটি বিষয়।
কিন্তু, এই সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট যে কারও প্রাণনাশের কারণ হতে পারে সেই রকমই এক হাড়হিম করা ঘটনা ঘটল কুয়েভেদো শহরের এক রেস্তরাঁয়। মাত্র ২৩ বছরেরই শেষ হয়ে গেল একটি তরতাজা প্রাণ। গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে গেল শরীর!
মর্মান্তিক সেই ঘটনার ফুটেজ (টুইটার থেকে সংগৃহীত)
দিনে দুপুরে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় আতঙ্কের ছায়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও আগুনের গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে।
যেখানে দেখা যাচ্ছে কী ভাবে রেস্তোরোঁয় ঢুকে আততায়ীরা ল্যান্ডিকে গুলি করে হত্যা করে। ভাইরাল হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, দুজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করছেন। সেই সময় পরিচিত একজনের সঙ্গে কথা বলতে ব্যস্ত ল্যান্ডি। দুই আততায়ীর একজন গেটের কাছে দাঁড়ায়।
অপরজন ল্যান্ডির দিকে এগিয়ে এসে গুলি চালিয়েই সেখান থেকে সরে পড়ে। আর গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যায় ২৩ বছরের তরুণীর শরীর। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
রেস্তোরাঁ থেকে অক্টোপাস ডিশ খাওয়ার ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছিলেন ল্যান্ডি পারাগা গয়বুরো। তিনি নাকি বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন।
প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, ছবি দেখেই তাঁর লোকেশন জানতে পেরে যায় আততায়ীরা। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে কী কারণে তাঁর সঙ্গে এইরকম মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল। কোনও আক্রোশ থেকে না অন্য কোনও বিষয়? সেটাই জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
একটা সময় ইকুয়েডরের মাদক কারবারি লিয়েন্দ্রো নোরেরোর সঙ্গে ল্যান্ডির নাম জড়িয়েছিল। দুজনের প্রেমের জল্পনাও শোনা গিয়েছিল। গত বছর লিয়েন্দ্রো ও তাঁর অ্যাকাউন্ট্যান্টের একটি কথোপকথন ফাঁস হয়েছিল অনলাইনে। যেখানে লিয়েন্দ্রো বলতে শোনা গিয়েছিল, তাঁর স্ত্রী যদি ল্যান্ডির সম্পর্কে জানতে পারেন তাহলে মারাত্মক পরিণতি হবে। ইকুয়েডরের জেলে লিয়েন্দ্রোর মৃত্যু হয়। সূত্রের খবর, জেলের দাঙ্গার সময় গুরুতর আহত হয় সে। তার জেরেই মৃত্যু হয়। ল্যান্ডির মৃত্যুর নেপথ্যে কি তাহলে লিয়েন্দ্রোর স্ত্রীর হাত রয়েছে কিনা সেই নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছে। তবে কি প্রতিশোধের স্পৃহা থেকেই ল্যান্ডিকে হত্যা করলেন লিয়েন্দ্রোর বিধবা স্ত্রী? সেই উত্তর খুঁজছে পুলিশ