শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৬:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নেতৃত্ব হারিয়ে ক্ষুব্ধ হওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন আফ্রিদি স্কুল ছুটি দিয়ে সবাইকে নিয়ে দাওয়াতে গেলেন প্রধান শিক্ষক! বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য ‘ভারত সরকার দায়ী’: কর্নেল অলি মানুষকে দুর্যোগের পূর্বে প্রস্তুত করতে দ্বিতীয় পর্যায়ের বিভাগীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত তাপস মনগড়া ও অসত্য তথ্য দিচ্ছেন: সাঈদ খোকন আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় ৫০ জনের মৃত্যু লিগ্যাল এইডে অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের ৩৮৪৮৮৬ মামলায় আইনি সহায়তা প্রদান সরকারের ধারাবাহিকতার জন্যই দেশে এতো উন্নয়ন হয়েছে : ওবায়দুল কাদের টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্র নিহত টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বজ্রপাতে নিহত ২, আহত ৪

ফর্সা ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে মেয়ের গর্ভপাত

মহানন্দ অধিকারী মিন্টু, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : 6:16 pm, শনিবার, ৪ মে, ২০২৪

জামাই কালো বলে মেয়েকে ছাড়িয়ে নিয়ে ফর্সা ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে ৬ মাসের গর্ভের সন্তান মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে খুলনার পাইকগাছায়। জানা যায়, প্রায় তিন বছর আগে পাইকগাছা উপজেলার শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের তাজামুলের সঙ্গে বিয়ে হয় সাদিয়ার। সে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার রামনগর গ্রামের মৃত আব্দুর রহিম মোড়লের মেয়ে। জামাইয়ের গায়ের রং কালো বলে মা সালমা বেগম তাকে পছন্দ করত না। তালাক দিয়ে ফর্সা ছেলে দেখে বিয়ে দেওয়ার কথাও জানায় মেয়েকে। কিš‘ মেয়ে রাজি হয় না। পরে ২ মে বৃহস্পতিবার মেয়ের গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে কৌশলে সন্তান নষ্টের ওষুধ খাইয়ে দেন তিনি। পরের দিন শুক্রবার রাতে প্রচন্ড পেটে ব্যাথা হলে সাদিয়াকে পাইকগাছা স্বা¯’্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালের মিডওয়াইফ শামীমা ও রোখসানা খাতুন মৃত সন্তান প্রসব করান। সাদিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমার মা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমাকে অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে গর্ভপাতের ওষুধ খাইয়ে দেয় আমার মা। পরদিন আমার প্রচন্ড পেটে ব্যাথা হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় আমার মৃত সন্তান প্রসব হয়। পাইকগাছা স্বা¯’্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রোকসানা আফরোজ তানিয়া জানান, সাদিয়া নামে একজন গর্ভবতী পেটে প্রচন্ড ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে আসলে আমি তাকে দ্রæত ভর্তি করি। তারপর সে একটি মৃত ছেলে সন্তান প্রসব করে। সন্তানটিকে তাদের অভিভাবকের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ানোর ফলে এমনটি হয়েছে কিনা সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পাইকগাছা থানার ওসি রঞ্জনকুমার গাইন উপপুলিশ পরিদর্শক হাফিজুর রহমান হাসপাতালে গিয়ে রাতেই রিপোর্ট সংগ্রহ করেন। থানার ওসি মো. ওবাইদুর রহমান বলেন, বিষয়টি আশাশুনি থানার রামনগরে বিধায় ওই থানায় আইনগত ব্যব¯’া নেওয়ার সুযোগ আছে। আমরা প্রতিবেদন দিয়ে সহযোগিতা করতে পারি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই রকম আরো জনপ্রিয় সংবাদ
© All rights reserved © 2017 Cninews24.Com
Design & Development BY Hostitbd.Com