সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন

গণতন্ত্রকে চিরস্থায়ীভাবে বাকশালে পরিণত করতেই খালেদা জিয়াকে বন্দি রেখেছে সরকার: রিজভী

সিএনআই নিউজ টুয়েন্টিফোর
  • আপডেট সময় : 3:12 pm, রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

গণতন্ত্রকে চিরস্থায়ীভাবে বাকশালে পরিণত করার জন্যই খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছেন শেখ হাসিনা এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে এক পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন। সাবেক ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাদের আয়োজনে ও স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছাদরেজ জামানের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল ও সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলসহ সব রাজবন্দিদের মুক্তির দাবি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল। বিক্ষোভ মিছিলটি কেন্দ্রীয় অফিসের বিপরীত সড়ক (ভিআইপি) টাওয়ারের সামনে থেকে শুরু হয়ে জোনাকি সিনেমা হলের সামনে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এরপর সেখান থেকে মোড় নিয়ে চায়না টাউনের সামনে দিয়ে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে এসে শেষ হয়।
রাজবাড়ীর দুই সহোদর শ্রমিকের হত্যার ঘটনা তুলে ধরে রিজভী বলেন, দুজন শ্রমজীবী মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা করার পর সরকারই বাধ্য হয়েছে গ্রেফতার করতে, কাকে? একজন চেয়ারম্যানকে। তিনি হলেন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান। প্রত্যেকটি জায়গায় সব দুর্বৃত্তপনা, সন্ত্রাস, রক্তপাত করছে সরকারের লোকজন। এদেরকে দিয়েই তো অন্যায় করা হয়েছে। এদেরকে দিয়েই তো গণতন্ত্রকামী মানুষের মিছিলে হামলা করা হয়েছে। এরা ফ্রি লাইসেন্স পেয়ে গেছে মানুষ হত্যার, টাকা লুটের।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কারণ ব্যাংকের টাকা লুটপাট করেছেন যারা হয় তারা আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন, আছেন অথবা মন্ত্রী অথবা আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ লোকজন। এই তথ্য গুলো যাতে সাংবাদিকরা না পায়, সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ যারা অপরাধী তারা পাপকে লুকিয়ে রাখতে চায়।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের পতন না হলে কোনো মানুষের নিরাপত্তা নেই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, যুবদলের সহ সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ সভাপতি রফিক হাওলাদার প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই রকম আরো জনপ্রিয় সংবাদ
© All rights reserved © 2017 Cninews24.Com
Design & Development BY Hostitbd.Com