কুড়িগ্রামের মোগলবাসায় সন্ত্রাসী তান্ডবে বাড়ি ভাংচুর, লুটপাট করে ৭ জনকে আহত করা হয়েছে। আহতরা কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন, গৃহ ছাড়া হয়েছে শিশু, মহিলা ও বৃদ্ধরা। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের চর সিতাইঝাড় গাড়িয়াল পাড়া গ্রামে ঈদের আগের দিন ১০ এপ্রিল ২০২৪ইং জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রæতার জেরে সন্ত্রাসী হামলা চালায় মৃত ছামছের আলীর ছেলে দুলালগং। এই সন্ত্রাসী হামলায় মৃত নছর উদ্দিন কাইন্দার ছেলে ছামাদ আলীগং এর ৭ জন আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে আহদের কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। এদিকে পুরুষ শূন্য বাড়িতে টানা তিনদিন ধরে ভাংচুর চালিয়ে লুটপাট করেছে দুলালগং। সরেজমিনে দেখা যায়, ছামাদ আলী, আইয়ুব আলী ও হোসেন আলী তিনজনের বাড়ি ভাংচুর করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রি, পরিধানের কাপড়, হাঁস-মুরগী ও ধান-চাল চুরি করায় প্রায় আনুমানিক ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। এ ঘটনার পর থেকে ওই তিনটি বাড়ির ২৬ জন শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা গৃহ হারা হয়ে পড়েছেন। সন্ত্রাসীদের ভয়ে তারা বাড়িতে ফিরতে পারছেন না। এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ৭ রোগী গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কাতরাচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্ত সূত্রে জানা গেছে, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জরিত ব্যক্তিরা হচ্ছেন- দুলাল (৪৮), এনামুল (৪০), আলমাস (৪১), আলাউদ্দিন (৫০), আবুল হোসেন (৫২), আয়নাল (৪০), সবুজ (২৭) সহ অজ্ঞাত আরো অনেকেই। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মোঃ এরশাদুল বলেন- জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রæতার জেরে তারা ঈদের আগের দিন রাতে আকস্মিক ভাবে আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমরা ৭ জন আহত হয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আছি। এই সুযোগে তারা আমাদের তিনটি বাড়ি ভাংচুর করে লুটপাট করেছে। আমরা এর ন্যায্য বিচার চাই। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন- এই মর্মান্তিক ঘটনার আমি নিন্দা জ্ঞাপন করছি। জমি নিয়ে দ্ব›দ্ব থাকতেই পারে, তাই বলে এতো বড় তান্ডব চালানো ঠিক হয়নি। কুড়িগ্রাম সদর থানার পুলিশ কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন- এ ব্যাপারে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করছি। খুব দ্রæত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে