বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১১:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিচার বিভাগ আরও শক্তিশালী হবে : প্রধান বিচারপতি শাকিব খানের বিয়ে নিয়ে নতুন তথ্য ফাঁস! চালকদের ক্যাপ-পানি, স্যালাইন দিয়ে মে দিবস পালন তেজগাঁও থানার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ : আফগান দলে ছয় অলরাউন্ডার মালিক ও শ্রমিক বাঁচলে অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে, দেশ এগিয়ে যাবেমে দিবসের আলোচনা সভায় বিভাগীয় কমিশনার ভুল চিকিৎসার অজুহাতে চিকিৎসকের ওপর আক্রমণ ন্যক্কারজনক : স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভারতের ৫০ স্কুলে বোমা হামলার হুমকি, আতঙ্কে রাজধানীবাসী হিমাগারে ৩০ হাজার বস্তা আলুতে পচন, কৃষক ও ব্যবসায়ীরা দিশাহারা বিলাসিতা ছেড়ে শ্রমিকদের কল্যাণে বিশেষ নজর দিতে শিল্প মালিকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী মা দিবসে রুনা লায়লার গান

এবার নতুন আইটেম মাছের সিঙ্গারা, রোল খেতে মানুষের ভিড়

বিশেষ প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : 12:31 pm, সোমবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৩

‍আলু দিয়ে সিঙ্গারা, সবজি দিয়ে রোল ও বল বানানো হয়, এটা কমবেশি সবাই জানে। মুখরোচক এ খাবার অনেকেরই বেশ পছন্দের। তবে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার একটি চা–দোকানে সিঙ্গারা, রোল ও বল বানানো হয় মাছ দিয়ে। নাম দেওয়া হয়েছে ফিশ সিঙ্গারা, ফিশ রোল ও ফিশ বল। দেখতে আলু সিঙ্গারার মতো হলেও এটি মাছ দিয়ে তৈরি। আক্কেলপুরের রুকিন্দীপুর ইউনিয়নের বটতলী বাজারে অনুকূল চন্দ্রের চা–দোকানে মাছ দিয়ে বানানো ওইসব মুকরোচক খাবারের নতুন আইটেম পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলা সদর থেকে উত্তর দিকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে এ বাজারের অবস্থান। ছোট-বড় মিলিয়ে বাজারে ২০-২২টি দোকান। অনুকূলের চা–দোকান প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে। চা–দোকানে গিয়ে দেখা গেল, ফিশ সিঙ্গারা, রোল ও বল ভাজা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকার লোকজন এসে স্টলের ভেতরে খাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। ভেজে তুলতে না তুলতেই সব শেষ হয়ে যাচ্ছে! বাজারের কয়েকজন দোকানি বলেন, অনুকূল চন্দ্রের বাড়ি উপজেলার পাশের জালালপুর গ্রামে। তিনি একটি কলেজে এলএমএসএসের চাকরি করেন। এক যুগের বেশি সময় ধরে চাকরির পাশাপাশি বিকেলে চা ও পেঁয়াজু বিক্রি করতেন আগে । মাস চারেক হলো মাছের তৈরি সিঙ্গারা, রোল ও বল বিক্রি শুরু করেছেন। প্রথম দিকে তেমন সাড়া না পেলেও এখন বিভিন্ন এলাকার মানুষ নতুন আইটেম এ গুলোর স্বাদ নিতে আসেন। এখন বিক্রিও ভালো হচ্ছে। প্রতিটি ফিশ সিঙ্গারার দাম পাঁচ টাকা মাত্র আর ফিশ রোল ও বলের দাম ১০ টাকা করে। চা–দোকানি অনুকূল চন্দ্র বলেন, এক যুগের বেশি সময় ধরে চা স্টলে বিকেলে পেঁয়াজু বিক্রি করছি। আমার স্ত্রী গোলাপি রানী এসো নামে একটা বেসরকারি সংস্থার সদস্য। ওই সংস্থা মাছের সিঙ্গারা, রোল ও বল তৈরিতে উদ্বুদ্ধ করেছে। প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ কেজি পাঙাশ, তেলাপিয়া, রুই ও সিলভার কার্প মাছ দিয়ে তিনি নতুন আইটেমের এসব মুখরোচক খাবার তৈরি ও বিক্রি করেন বলে জানালেন। আওয়ালগাড়ী গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, অনুকূলের দোকানে ভিন্ন স্বাদের সিঙ্গারা পাওয়া যায়। এ কারণে বিকেলে আট বছরের ছেলে সিফাতকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ফিশ সিঙ্গারা খেতে এসেছেন। আক্কেলপুর পৌর শহরের হাস্তাবসন্তপুর মহল্লার নিয়াজ মোর্শেদ ও মমতাজ উদ্দিন বলেন, ‘এখানে বিকেলে মাছের তৈরি সিঙ্গারা, বল ও রোল পাওয়া যায় শুনে খেতে এসেছি। আমার ভালো লেগেছে। বেসরকারি সংস্থা এসোর মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, ‘বর্তমানে তাজা মাছের পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত মাছ বা রেডি টু ইট ফিশ প্রোডাক্ট আমাদের খাদ্য তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। অনেক পরিবারের ছোট বাচ্চারা মাছের কাঁটা বা গন্ধের কারণে মাছ খেতে চায় না। রেডি টু ইট ফিশ প্রোডাক্ট সম্পূর্ণ গন্ধমুক্ত, কাঁটামুক্ত এবং পুষ্টিমান ঠিক থাকায় সব বয়সের মানুষ এটা সহজেই খেতে পারবে। এ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিকল্প কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে এবং বাড়তি আয় করা সম্ভব। পিকেএসএফের আর্থিক সহযোগিতায় এসো প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই রকম আরো জনপ্রিয় সংবাদ
© All rights reserved © 2017 Cninews24.Com
Design & Development BY Hostitbd.Com