লালমনিরহাট প্রতিনিধি : লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষাশহর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ এবং বালিকা নিুমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭টি শ্রেণীকক্ষ দীর্ঘদিন ভেঙ্গেঁ চুরমার হয়ে পড়ে থাকলেও নজর নেই কারো। ফলে খোলা আকাশের নীচে বোল্ট পাথরে বসে ক্লাশ করছে শিক্ষার্থীরা। মেরামত বিষয়ে স্থানীয় পর্যায় এমপি,মন্ত্রী দলীয় নেতা থেকে সরকারী দপ্তরে একাধিকবার আবেদন করেও কোন ফলপ্রসু পায়নি দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ জানান প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষকবৃন্দ ও স্থানীয়রা। সরেজমিনে উপজেলার মহিষাশহর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজে গিয়ে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নীচে গোল বোল্ট পাথরের উপর বসিয়ে পাঠদান শিখাচ্ছেন শিক্ষকরা। এসময় শিক্ষার্থীরা জানান, বহুদিন ধরে তারা খোলা আকাশের নীচে বোল্ট পাথরের উপরে বসে ক্লাস করছেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, বিদ্যালয়ের ৭ম,৮ম,৯ম,একাদ্ধশ ও বালিকা বিদ্যালয়ের ২টি টিনের ঘরসহ ৩টি শ্রেনীর কক্ষ ভেঙ্গেঁ চুরমার হয়েগেছে। কোন ক্রমেই বসার উপযোগী নয়। শ্রেণীকক্ষগুলোর দরজায় রয়েছে তালা ঝুলানো। সহকারী শিক্ষকদের মাধ্যমে তালা খুলে দেখাগেছে, কক্ষগুলোর ওয়ালে ধব্স ধরেছে। উপরের টিনের ঘড়ে টিন নেই ধসে পড়েছে উপরের ছাঁদ। ভিতরে নেই চেয়ারটেবিল। দেখে মনে শ্রেণীগুলোতে ভূতেঁর বাস। সহকারী শিক্ষকরা জানান, স্থানীয় এমপি ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মহিষাশহর বাজারের নির্মাণ মন্দীর উদ্ধোধনের সময অবগত করা হয়। এছাড়া আবেদনও কয়েকবার দেয়া হয়েছে। কোন ফল পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক জানান, প্রতিষ্ঠানে ৬ষ্ঠ থেকে দ্ধাদশ পর্যন্ত প্রায় ৮শত শিক্ষার্থী। এবারের ফলাফলে উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান। শিক্ষারমান উন্নত হলেও প্রতিষ্ঠানের শ্রেণীকক্ষগুলো অচল। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জগদীশ চন্দ্র বর্মন বলেন, অনেকবার আবেদন করা হয়েছে। কোন বরাদ্দ না পাওয়ায় মেরামত করা যায়নি। বরাদ্দ পেলে মেরামত করা হবে।