সংগঠনের কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের জেরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ধর্মঘট দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে।
ফলে বুধবারও হাসপাতালের ৯টি ইউনিটের চিকিৎসাসেবা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রায় দুই হাজার রোগী।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে ধর্মঘট ডাকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
ফলে ওইদিন থেকেই হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কাঙ্ক্ষিত পদ না পেলে এ আন্দোলন চলবে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোশিয়েসন এবং বঙ্গবন্ধু ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোশিয়েশনের পৃথক দুটি কমিটি মঙ্গলবার অনুমোদন দেওয়া হয়। দুটি কমিটিতে পদবঞ্চিত এবং কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়া চিকিৎসকরা মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেন।
তবে নবগঠিত কমিটিতে পদধারীর দায়িত্ব পালন করায় মেডিসিন ওয়ার্ডের ৩টি ইউনিট সচল রয়েছে।
আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের একজন নবগঠিত ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ডা. নাজমুল হাসান বলেন, শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এরপর আমরা সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবো। এতেও যদি আমাদের দাবি অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত পদ না দেওয়া হয়, তাহলে এ ধর্মঘট চলবে।
শেবাচিম হাসপাতালের মোট ১৯০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসকের মধ্যে ১৬০ জন ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন বলে জানান তিনি।
ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতি ডা. ইমরান হোসেন বলেন, আমাদের কমিটি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। আন্দোলনকারীরা সভাপতি-সম্পাদক পদ চাচ্ছেন। যোগ্যতার বিচারে হওয়া কমিটি সাধারণ চিকিৎসকরা মেনে নিয়ে কাজ করছে। তাই চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে না।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোশিয়েশন এবং বঙ্গবন্ধু ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোশিয়েশনের দুটি কমিটি সুপারিশ করেছেন সিটি মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। ওই সুপারিশের ভিত্তিতে তিনি মঙ্গলবার দুটি কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। এতে পদবঞ্চিতরা ক্ষুদ্ধ হয়ে মঙ্গলবার দুপুর থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন। অন্যদিকে কমিটিতে পদ পাওয়া চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন করছেন। একাংশের ধর্মঘটে চিকিৎসাসেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে উভয় পক্ষকে বলা হয়েছে সমন্বয় করে কর্মস্থলে ফিরতে।