তালাবদ্ধ ঘরেই মিলল ২ লাশ
বাড়ির প্রধান ফটক ও ঘরের দরজায় ঝুলছিল তালা। পাঁচ দিন ধরে ওই তালাবদ্ধ ফটক দেখিয়ে স্ত্রী ও একমাত্র শিশু ছেলে নিখোঁজ বলে প্রতিবেশীদের জানান জুমান মিয়া। সন্দেহ হলে স্বজনরা তালা ভেঙে ঘরের ভেতর মা ও ছেলের মরদেহ দেখতে পায়।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া পশ্চিম খণ্ড (প্রশিকা মোড়) এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ মা ও ছেলের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে।
নিহতরা হলেন রুবিনা আক্তার (২২) ও তার ছেলে রিয়াদ হাসান জিহাদ (৬)। রুবিনা ওই গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের মেয়ে।
স্বজনরা জানিয়েছে, ওই গ্রামে বাবার দেওয়া জমিতে বাড়ি করে সেখানেই একমাত্র ছেলেকে নিয়ে থাকতেন রুবিনা। তার স্বামী জুমান মিয়া পাশে রঙ্গিলাবাজার এলাকায় ভাড়া থেকে সেখানে একটি দোকানে কাজ করতেন। জুমান মিয়ার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে বলে জানা গেছে।
ঘটনার পর পুলিশ জুমান মিয়াকে (২৬) আটক করেছে। তবে এ ঘটনায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।
রুবিনার বাবা সিরাজ উদ্দিন জানান, গত মঙ্গলবার থেকে তার মেয়ের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে পাওয়া যাচ্ছিল না। বাড়িতে গিয়ে প্রধান ফটকে তালা ঝুলতে দেখেন। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার (রুবিনা) কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে তাদের সন্দেহ হলে আজ সন্ধ্যায় তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে মেঝেতে রুবিনা ও তার ছেলের অর্ধগলিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তারা। সেখানে একটি বিরিয়ানির প্যাকেটও পড়ে ছিল।
নিহত রুবিনার বড় বোন সেলিনা আক্তার জানান, কয়েক দিন আগে রুবিনার সঙ্গে তার স্বামীর ঝগড়া হয়েছিল। ঝগড়ার পর জুমান মিয়া তার ভাড়া বাড়িতে চলে যান। সেখান থেকে দুই দিন পর রাতে ফের তার বোনের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, জুমান মিয়া আমার বোন ও তার ছেলেকে হত্যা করেছে। হত্যার পর ঘরের ভেতর লাশ রেখে বাইরে দিয়ে তালা দিয়ে চলে যান।
প্রতিবেশী নবী হোসেন জানান, গত পাঁচ দিন ধরে বাড়ির প্রধান ফটকে তালা ঝুলতে দেখেন তিনি। পরে রুবিনা আক্তারের স্বামী তালা দেখিয়ে তার স্ত্রী ও ছেলেশিশু নিখোঁজ বলে তাদের জানিয়েছিলেন।