সালাম না দেওয়ায় অনার্স পডুয়া ছাত্র তন্ময় শাহিন ও তাঁর বন্ধুদের উপর হামলা চালিয়েছে মামা-ভাগ্নে নামের কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এ হামলায় আহত হয়েছে ৫ জন।
আহতরা হলো, সাভার সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তন্ময় শাহিন, মুছা এহসান মুন্না, আব্দুল করিম ও মো: ইয়াছিন। তারা বর্তমানে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাভার সদর ইউনিয়নের চাঁপাইন তালতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কিশোর গ্যাং সদস্যদের মহড়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছিল পুরো এলাকায়। জরুরী পরিষেবা “৯৯৯-এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার এসআই মো: রাজু।
এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। এতে আসামী করা হয়েছে বেশ কিছু কিশোর গ্যাং সদস্যকে।
অভিযুক্তরা হলো- ওসমান মাদবরের ছেলে মোঃ শহীদ (৪২), মোঃ মুন্না (২৪) ওরফে কবুতর মুন্না , মোঃ হিমেল (২৪), সাহামতের ছেলে মোঃ রফিক ((৪০), কাশেম ঢালীর ছেলে বাবুল (৪০) , মোঃ শরীফ (২২) ও মোঃ রোহান (১৯) এর মধ্যে কিশোর গ্যাং মামা গ্রæপের লিডার কবুতর মুন্না ও ভাগ্নে গ্রæপের লিডার মোঃ হিমেল।
অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঐ সন্ধ্যায় কলেজ ছাত্র তন্ময় শাহিন সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এর দশ মিনিট পর চাঁপাইন নিউমার্কেট রোডের ফ্রেন্স টাওয়ারের সামনে পৌঁছালে তার গতিরোধ করে দাঁড়ায় সেখানে আড্ডারত কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এসময় তাকে বিভিন্ন অবান্তর প্রশ্ন করতে থাকে তারা। কথা বলার সময় সালাম না দেওয়ায় তাকে চর থাপ্পর, কিল ঘুষি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকেগ্যাং সদস্যরা। এ অবস্থা থেকে রেহায় পেতে ঘটনাস্থল থেকে দৌড় দেয় শাহিন। সে চাঁপাইন তালতলা এলাকায় পৌঁছালে তার উপর দ্বিতীয় দফায় সশস্ত্র হামলা করে অভিযুক্তরা। এসময় স্থানীয় মুছা এহসান মুন্না, আব্দুল করিম ও মো: ইয়াছিন হামলা থেকে কলেজ ছাত্র তন্ময় শাহিনকে বাঁচাতে গেলে তাদের উপরও হামলা চালিয়ে আহত করে মামা-ভাগ্নে গ্যাং।
স্থানীয়রা জানায় এই মামা-ভাগ্নে কিশোর গ্যাং গ্রæপ প্রায়ই এলাকায় মারামারি করে। প্রশাসন শক্ত পদক্ষেপ না নিলে এরা বড় ধরনের অপরাধে জড়িয়ে যাবে।
আহত কলেজ ছাত্র তন্ময় শাহিন জানায়, সালাম না দেওয়ায় তারা এলাকার বড় ভাইকে চিনিয়ে দিতে আমাকে রোডের পাশের একটি চিপা গলিতে নিয়ে যায়। এরপর আমাকে ইচ্ছামত কিল ঘুষি মারতে থাকে। প্রাণে বাঁচতে দৌড়ে পালাতে গিয়েও পিছু নেয় ওরা। আমি তালতলায় পৌঁছালে আবার সুইচ গিয়ার দিয়ে আমাকে এলোপাথাড়ি জখম করে। এরপর যে বাড়িতে আশ্রয় নিতে গিয়েছি সে বাড়িতেও হামলা চালায় তারা।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন মারামারির ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। #