জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত অর্থদন্ডের ৪ লক্ষ ৭৪ হাজার ৯৫০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে। গত মাসে জেলার ৭ উপজেলায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের নেতৃত্বে এসকল ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন অমান্যকারীদের অর্থদন্ড ও কারাদন্ডে দন্ডিত করে।
এসময় ৬৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২৩২টি মামলা দায়ের করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ গতমাসে ১৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডের আদেশ দেন এবং ২৩২ জনকে বিভিন্ন পরিমাণ অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন। মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে ৬ জনকে কারাদন্ড দেয়া হয়। এছাড়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ৩ জনকে এবং দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৬ ধারায় ১ জনকে কারাদন্ড দেয়া হয়। বাল্যবিয়ে দেয়ার অপরাধে ২টি মোবাইল কোর্টে আইন অমান্যকারীদের ৫৩ হাজার টাকার অর্থদন্ড দেয়া হয়। এছাড়া এ প্রথম শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রন বিধিমালা ২০০৬ এর ১৮ ধারায় ৫ জনকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা, বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২২ এর ১২ বিধিতে ১ জনকে ১০ হাজার টাকা, ২০২৩ সালে প্রণিত ওষূধ ও কসমেটিক্স আইন এর ৩০(খ) ধারা অনুযায়ী ১ জনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মৎস্য সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর আওতায় পরিচালিত ৫টি মোবাইল কোর্টে ৭টি কারেন্ট জাল, ৫টি চায়না দুয়ারী জাল, ৩টি বের জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন ২০২৩ এর আওতায় পরিচালিত ১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত এ আইনটি অমান্য করার অপরাধে ১টি ইট ভাটার ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের কাঁচা ইট জব্দ করে বিনষ্ট করা হয়। সড়ক পরিবহণ আইন ২০১৮ এর বিভিন্ন ধারা, ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন- ২০০৫, বাংলাদেশ হোটেল ও রেঁস্তোরা আইন ২০১৪, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০ এর ৪ ধারা এবং ওজন পরিমাপ ও মানদন্ড আইন ২০১৮ এর ২৪(১) ধারা অনুযায়ী এসকল মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয় বলে কোর্ট সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। পিরোজপুরের জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে এসকল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যহত থাকবে। অপরাধী যেই হোক না কেন আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে বলেই জেলার শান্তিপ্রিয় মানুষ সুষ্ঠুভাবে বসবাস করতে পারছে।