বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০২:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বছরের সবচেয়ে বড় ও উজ্জ্বল সুপারমুন দেখা যাবে আজ ‘৪৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে শতাধিক মামলা খেয়েছি’ নাজমুল হাসান তালুকদার রানা  কাউনিয়ায় সচেতনতা মুলক কৃষক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত দেখার কেউ নেই? ঘোড়াঘাটে সেতুর অভাবে জীবনের ঝুঁকিপূর্ণ নৌপথে পারাপার জাবি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মামলা আয়ারল্যান্ড সিরিজের জন্য বাংলাদেশ টেস্ট দল ঘোষণা ওয়াশিংটনের রিগ্যান জাতীয় বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল পুনরায় শুরু রেকর্ড উষ্ণতম অক্টোবর দেখলো হংকং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিলো সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

দেখার কেউ নেই? ঘোড়াঘাটে সেতুর অভাবে জীবনের ঝুঁকিপূর্ণ নৌপথে পারাপার

ঘোড়াঘাট, প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : 10:54 am, বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫


দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট ও গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর সীমানা দিয়ে বয়ে চলেছে করতোয়া নদী। এই নদীতে নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন দুই পারের মানুষ। এসব মানুষ হাজির ঘাটে দীর্ঘদিন ধরে ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন। স্থানীয়দের মতে, এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে, শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সহজ হবে এবং দুর্ঘটনা কমবে। বর্তমানে নদীর দুই পাড়ের প্রায় ৪০ গ্রামের দুই পারের কয়েক হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা নৌকা। শুষ্ক মৌসুম হোক বা ভরা বর্ষাড় সব সময়ই নদীতে পানি থাকায় ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার হতে হয়। এতে ্রপ্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হন পথচারী ও শিক্ষার্থীরা। কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ঝাঁপর, মগলিশপুর, কুঁড়িপাড়া, হিন্দুপাড়া, কাশিয়াবাড়ী, মেঘার মোড়, গনকপাড়া ও দক্ষিণ মির্জাপুরসহ আশপাশের গ্রামগুলো কৃষি উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। আলু, পেঁয়াজ, রসুন, হলুদ, মরিচসহ বিভিন্ন রবি শষ্য এখান থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ সরবাহ হয়ে থাকে। কিন্তু সেতু না থাকায় কৃষকদের বাজারজাত করতে বড় ভোগান্তি পোহাতে হয়। কাশিয়াবাড়ীর সবজি চাষি রহিম আলী বলেন, নৌকা না পেলে রাস্তা ঘুরে বাজারে যেতে হয়, এতে সময় লাগে ও খরচ দুটোই বাড়ে। ব্রিজ হলে এই ভোগান্তি দূর হবে। অন্যদিকে স্থানীয় কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, নৌকা না পেলে তাদের স্কুলে যাওয়া সম্ভব হয় না। অনেক সময় নৌকায় উঠতে গিয়ে পানিতে পড়ে দুর্ঘটনার শিকারও হতে হয়। ঘোড়াঘাট পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র আব্দুস সাত্তার মিলন বলেন, ‘হাজির ঘাটে ব্রিজ নির্মাণ হলে কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ সহজ হবে।’ ৩নং সিংড়া ইউপির চেয়ারম্যান সাজ্জাত হোসেন জানান, আগেও প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছিল, তবে কাজ হয়নি। নতুন করে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের মাধ্যমে আবারও প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি নিজে দেউলী ঘাটে গিয়েছি। এখানকার মানুষের জন্য সেতুটি খুবই জরুরি। নদীতে নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত, কৃষিপণ্য পরিবহন, স্কুল গামি শিক্ষার্থী যাওয়া আসা কিংবা জরুরি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাতায়াত সব কিছুতেই মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রæত উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করব। উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর থেকে জানা গেছে, সেতু নির্মাণের জন্য বেশ কয়েকবার প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো অনুমোদন আসেনি। স্থানীয়রা মনে করছেন, কর্তৃপক্ষ দ্রæত পদক্ষেপ না নিলে হাজির ঘাটে সেতু নির্মাণের দাবিটি আরও দীর্ঘায়িত হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই রকম আরো জনপ্রিয় সংবাদ
© All rights reserved © 2017 Cninews24.Com
Design & Development BY Hostitbd.Com