বাগেরহাটের মংলাতে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন এক গৃহবধু। এব্যাপারে সুবিচার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী। অবশেষে বিচার না পেয়ে আদালতে মামলা করেছেন তিনি।
অভিযুক্তরা হচ্ছেন- স্বামী মোঃ মোক্তার হোসেন, দেবর মোঃ সত্তার, মোঃ আক্তার, শ্বাশুড়ি সালেহা বেগম ও শ্বশুর তাজুল ইসলাম।
আবেদন সূত্রে জানা যায়, মংলার পশ্চিম কাইনমারী গ্রামের মো: তাজুল ইসলামের ছেলে মো: মোক্তার হোসেন বিগত ২০১৬ সালের ১০ জুলাই বিভিন্ন রকম ছল চাতুরির আশ্রয় নিয়ে বিয়ে করে একই গ্রামের মৃত মালেকের মেয়ে রোকেয়া বেগমকে। এ সময় মোক্তারের ঘরে স্ত্রী সন্তান থাকলেও তা সে গোপন করে প্রতারনার আশ্রয় নেয়। পরে রোকেয়া বিষয়টি জানলেও লোক-লজ্জার ভয়ে এবং সামাজিকতার কারণে মোক্তারের সংসার করে আসছিল। বিবাহিত জীবনে রোকেয়া দুই সন্তানের জননী। কয়েকবছর তারা সুখে-শান্তিতে সংসার করে আসলেও পরবর্তী সময়ে যৌতুকের জন্য রোকেয়ার উপর নির্যাতন চালায় মোক্তার। শারীরিক নির্যাতনের ভয়ে বিভিন্ন সময় রোকেয়া মোক্তারকে টাকা এনে দিতে বাধ্য হয়। এক সময় রোকেয়ার ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা এনে দেয় রোকেয়া। এতেও মোক্তার ক্ষান্ত হয়নি। আরো ৫০ হাজার টাকার জন্য রোকেয়াকে চরম নির্যাতন চালায় সে।
এরই মধ্যে রোকেয়া জানতে পারে সে মোক্তার পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে একটি মেয়ের সাথে অভিসার করে আসছে। রোকেয়া বেশ কয়েকবার মেয়েটির বাসায় গিয়ে তাদের হাতে নাতে ধরে ফেলে। এসব কারণে সেখানে বেধড়ক মারধোরের শিকার হন রোকেয়া।
বিষয়টি তার পিতা-মাতা ও বড় ভাইদেরকে গিয়ে জানালে তারা সবাই সঙ্গবদ্ধ হয়ে রোকেয়া ও তার বড় মেয়েকে মারধর করে। রোকেয়া ও তার মেয়েদেরকে তাড়িয়ে দেয়। সে স্থানীয় গন্যমান্য বাক্তিদের বিষয়টি জানালে তারা কোন রকম শালিস ব্যবস্থা না করায় ভুক্তভোগী বাগেরহাট বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং যৌতুক আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর থেকে অভিযুক্তদের নানা হুমকীতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন রোকেয়া বেগম ও তাঁর সন্তানেরা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোক্তার ও তার পরিবারের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।