রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বহুমুখী সংকটের মধ্যেও জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ : নাহিদ শেখ হাসিনা ও ফ্যাসিবাদী দলের নেতাদের সম্পত্তিতে হামলা না করতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান দেশবাসীর প্রতি জামায়াত আমিরের আহ্বান কুদালিছড়া-ডুপাবিল খাল খননে অনিয়মের অভিযোগ দায়ের-জেলা প্রশাসক হাতিয়ার সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর দুই বাড়ি ও ১১ নৌযানে আগুন আলুর বাম্পার ফলনের আশায় মুন্সীগঞ্জের কৃষকরা অভিনেত্রী সোহানা সাবা আটক বিদেশি প্রভাব ও রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমাবে যুক্তরাষ্ট্র লেবাননে হিজবুল্লাহর একাধিক স্থাপনায় ইসরাইলের হামলা দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে যা বলল বিএনপি

আশুরার রোজা প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) যা বলেছেন

সিএনআই নিউজ টুয়েন্টিফোর
  • আপডেট সময় : 12:08 pm, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪

আশুরা আরবি শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে ১০। মহররমের ১০ তারিখকে আশুরা বলা হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে মহররম একটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ মাস।
অনেক ইতিহাস-ঐতিহ্য ও রহস্যময় তাৎপর্য নিহিত আছে এ মাসকে ঘিরে। এ মাসের ১০ তারিখ মুসলিম বিশ্বের তাৎপর্যপূর্ণ সেই আশুরার দিন। আশুরার ‍দিন অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। এদিন রোজা রাখা মুস্তাহাব।
আশুরার রোজা
রাসুলুল্লাহ (সা.) আশুরার রোজা নিজে পালন করেছেন এবং উম্মতকে রাখার প্রতি নির্দেশ করেছেন। তাই তাঁর অনুসরণ করা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আশুরার রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘রমজান মাসের রোজার পর সর্বোত্তম রোজা মহররম মাসে আশুরার রোজা।’ (সুনানে কুবরা, হাদিস : ৮৪২১০)
আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে আশুরার রোজার ফজিলত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, এই রোজা বিগত বছরের গুনাহ মুছে দেয়।
(মুসলিম, হাদিস : ১১৬২)
অন্য এক হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি আল্লাহর প্রতিদান প্রত্যাশা করছি আরাফার রোজা বিগত বছর ও আগত বছরের গুনাহ মার্জনা করবে। আরো প্রত্যাশা করছি আশুরার রোজা বিগত বছরের গুনাহ মার্জনা করবে।’ (সহিহ মুসলিম, হদিস : ১১৬২)
রাসুলুল্লাহ (সা.) এ রোজার ব্যাপারে খুব আগ্রহী থাকতেন। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ফজিলতপূর্ণ দিন হিসেবে আশুরার রোজা এবং এ মাসের রোজা অর্থাৎ রমজানের রোজার ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে যত বেশি আগ্রহী দেখেছি অন্য রোজার ব্যাপারে তদ্রূপ দেখিনি। (সহিহ বুখারি হাদিস, ১৮৬৭)
আশুরার রোজা যখন যেভাবে রাখতে হবে
আশুরার রোজা রাখার ক্ষেত্রে শরিয়তের বিধান হলো আশুরার রোজা হবে দুটি।
অর্থাৎ জিলহজের ৯-১০ বা ১০-১১ যেকোনো পদ্ধতিতে আদায় করা যায়। আলেমদের মধ্যে আশুরার রোজার দিন প্রসঙ্গে দ্বিমত আছে। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, তোমরা ৯ ও ১০ (এই দুই দিন) রোজা পালন করো এবং (এই ক্ষেত্রে) ইহুদিদের বিপরীত করো। (তিরমিজি, হাদিস : ৭৫৫)
একটি হাদিসে এমন পাওয়া যায়, আল্লাহর রাসুল (সা.) জীবনের শেষ বছর বলেছেন, ‘আমি যদি আগামী বছর বেঁচে থাকি তবে মহররমের ৯ তারিখেও সিয়াম পালন করব।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৫৫৭)
অন্য বর্ণনায় রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা আশুরার দিনে রোজা রাখো, তবে এ ক্ষেত্রে ইহুদিদের সঙ্গে মিল না হওয়ার জন্য ১০ তারিখের আগের দিন অথবা পরের দিন আরো একটি রোজা রেখে নিয়ো।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২১৫৪)
তবে নবীজির আকাঙ্ক্ষার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জিলহজের ৯ ও ১০ তারিখ রোজা রাখা উত্তম।
আল্লাহ তাআলা আমাদের পবিত্র আশুরার দিনের করণীয় যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই রকম আরো জনপ্রিয় সংবাদ
© All rights reserved © 2017 Cninews24.Com
Design & Development BY Hostitbd.Com