
সিএনআই নিউজ : মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বর্বর নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির জন্য জরুরি মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। এজন্য জাতিংসঘের ত্রাণকর্মীদের রাখাইন রাজ্যে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। একই সঙ্গে রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার জেনেভায় প্রকাশিক এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান ইউএনএইচসিআর এর মুখপাত্র আদ্রিয়ান এডওয়ার্ডস।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাখাইন রাজ্যে ত্রানকর্মীদের প্রবেশ কড়াকাড়িভাবে বন্ধ রেখেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এ মুহূর্তে সেখানকানে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের জন্য জরুরি চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। এজন্য জাতিসংঘের ত্রাণকর্মীদের সেখানে প্রবেশ ও নিরাপদে মানবিক সহায়তা কার্যত্রক্রম পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টির জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে ইউএনএইচসিআর।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাখান রাজ্য থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ এখন বাংলাদেশ সীমান্তে জড়ো হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেক মারাত্মকভাবে জখম হওয়া লোকজনও আছেন। এরই মধ্যে গত কয়েকদিনে ৫ হাজার ২০০ জন রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। এদের মধ্যে আহত অনেকের জরুরি চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। ইউএনএইচসিআরও তাদের সহায়তা দিচ্ছে।
এতে বলা হয়, এ অবস্থায় আরো যারা জখম হয়ে সীমান্তে অসহায় অবস্থায় রয়েছেন তাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিতে বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করেছে ইউএনএইচসিআর। এরআগেও বাংলাদেশ বিপুল সংখ্যাক নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে বাংলাদেশ সরকার আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের জীবনধারনের জন্য মানবিক সহয়াতা দিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য ইউএনএইচসিআর কৃতজ্ঞ।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ইউএইচসিআর মনে করে রোহিঙ্গা শরনার্থী সংকট নিয়ে বাংলাদেশের যে উদ্বেগ তা নিরসনে এ মুহূর্তে আন্তজাতিক সম্প্রদায়ের বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতা আরও বাড়ানো উচিত। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির অধিকার নিশ্চিত হওয়ার মধ্য দিয়েই এ সংটের স্থায়ী সমাধান সম্ভব বলেও ইউএনএইচসিআর মনে করে।