মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঐকমত্য কমিশন নিয়ে যে অভিযোগ সালাহউদ্দিনের জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের সুযোগ নেই: আমির খসরু এনসিপি কোন জোটে যাবে, যা বললেন নাহিদ আ.লীগ হচ্ছে ডেথ চ্যাপ্টার: হাসনাত আবদুল্লাহ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের যুদ্ধের জন্য আরো ২-৩ বছর ইউরোপের সমর্থন চান জেলেনস্কি নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে দ্রুত বডি-ওর্ন ক্যামেরা ক্রয়ের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রকৃত বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবে সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা  আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের পর দেউলিয়া হয়ে গেছে: মাহফুজ আলম রায়গঞ্জে যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে— ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার’।   ‎

‘সুন্দরবনের দস্যুদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে’

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট সময় : 5:06 pm, মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০১৬
khulna-rab--bg20160524165729খুলনা: র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, সুন্দরবনের দস্যুদের অস্ত্রের উৎস এবং সরবরাহকারী গডফাদারদের বিষয়েও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য পাওয়া মাত্রই ভদ্রতার মুখোশে থাকা গডফাদারদের আইনের আওতায় আনা হবে।

মঙ্গলবার (২৪ মে) দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে খুলনার সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে র‌্যাবের ডিজি একই স্থানে উপকূলীয় জেলাসমূহে জেলেদের মৎস্য আহরণ নির্বিঘ্ন ও দস্যু দমনের লক্ষে গঠিত জাতীয় টাক্সফোর্সের সভার সভাপতিত্ব করেন। এ সময় র্যাবসহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সুসমন্বিত কর্মপন্থা নির্ধারণে সবার সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।

প্রেসব্রিফিংয়ে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, বনের দস্যু দমনে তাদের একটি ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে। এ ড্যাটাবেজের মাধ্যমে তাদের তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ করা হবে। এছাড়া অতীতেও যারা দস্যুতার সঙ্গে জড়িত ছিল এবং গ্রেফতারের পর কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে গেছে- তাদের গতিবিধির ওপরও নজরদারি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এনএসআই, ডিজিএফআই, র্যাব, কোস্টগার্ড, পুলিশ হেডকোয়াটার্স, এসবি, নৌ-পুলিশ এবং প্রধান বনসংরক্ষকের প্রতিনিধির সমন্বয়ে ২০১২ সালের ৩ জুলাই জাতীয় টাক্সফোর্স গঠন করা হয়। গত দু’ বছরে টাক্সফোর্স সুন্দরবনে ১ হাজার ৩৩৭টি একক অভিযান পরিচালনা করেছে।

এর মধ্যে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয় ১৭৭টি। এসব অভিযানে সুন্দরবনের ৩৫জন দস্যু নিহত হয়েছেন। যার অধিকাংশই দস্যু বাহিনীর প্রধান ছিল। এ সময় গ্রেফতার করা হয় মোট ৬১১ দস্যুকে। টাক্সফোর্সের এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বেনজীর আহমেদ বলেন, দস্যু দমনের জন্য পশ্চিম সুন্দরবনে র্যাব-৬’র একটি ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। এছাড়া সুন্দরবনের ওপর জীবিকা নির্ভরশীল জেলে, বাওয়ালি ও মৌয়ালদের সঙ্গে মতবিনিময় করে তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমেও দস্যুদের চিহ্নিত করা হবে। এজন্য তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি সুন্দরবনের শত্রুদের মোকাবেলা করতে বনের ভেতরে থাকা বনবিভাগের ৭২টি ক্যাম্পের সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।

সম্প্রতি সুন্দরবনে আগুন দেওয়া সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,  সুন্দরবনে আগুন দেওয়ার ঘটনা সাম্প্রতিককালে বেড়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য জেলা পুলিশ তৎপর রয়েছে। অচিরেই এদের গ্রেফতার করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই রকম আরো জনপ্রিয় সংবাদ
© All rights reserved © 2017 Cninews24.Com
Design & Development BY Hostitbd.Com