অসময়ের বৃষ্টিতে এবার সিরাজগঞ্জে প্রাকৃতিক মাছের উৎপাদন ব্যাহতের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন জেলেরা। তারা বলছেন, মাছের প্রজনন মৌসুমে এবার পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়। এ কারণে চলনবিলসহ আশপাশের মাছের প্রাকৃতিক জলাশয়গুলোতে বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। এসব কারণে প্রাকৃতিক জলাশয়ে পানির পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম। তাই এবছর প্রাকৃতিক মাছের উৎপাদন কম হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মৎস্যজীবীরা জানান, জলাশয়ের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকার কারণে মাছের প্রজনন মৌসুমে মাছ পর্যাপ্ত ডিম ছাড়তে পারেনি। এই পরিস্থিতি মাছের পোনাগুলোও তেমন বড় হতে পারেনি। এটি সামগ্রিক মৎস্য উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ইতোমধ্যে মৎস্য ভাণ্ডার খ্যাত চলনবিল এলাকায় পর্যাপ্ত মাছের অভাবে শুটকি চাতালগুলো এখনও পুরোপুরি চালু হয়নি। এছাড়া যমুনাসহ বিভিন্ন নদী এলাকায় জলাশয়গুলোতে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছে মৎস্যজীবীরা
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাইতারা গ্রামের হাছেন আলী (৭০) বলেন, মাছের প্রজনন মৌসুমের সময় এ বছর বৃষ্টি হয়নি। যা বৃষ্টি হয়েছে সেটা প্রজনন মৌসুম শেষে। অসময়ের বৃষ্টির কারণে চলবিলসহ আশপাশে বন্যার পানিও স্থায়ী হয়নি। অথচ অন্যান্য বছর জলাশয়সহ নিচু এলাকায় এই সময়ে পানিতে পরিপূর্ণ থাকে, মাছও পাওয়া যেত প্রচুর। উল্লাপাড়া উপজেলার বড়পাঙ্গাসী গ্রামের শুটকি চাষি আনোয়ার হক জানান, চলনবিলে বন্যার পানি স্থায়ী না হওয়ায় মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। যে কারণে মাছের অভাবে শুটকি চাতালগুলো এখনও পুরোপুরি চালু করা যাচ্ছে না।
উল্লাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান বলেন, বন্যার পানির স্থায়িত্ব তুলনামূলক কম হওয়ায় মাছের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। তবে বন্যার পানি কমে গেলে মাছ ধরা শুরু হলে তখনই বোঝা যাবে মাছের উৎপাদন কেমন হলো।সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. খালেদ মোশারফ বলেন, আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে মাছের প্রজনন হয়। এ বছর এই সময় বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় মাছের উৎপাদন কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।