সিরাজগঞ্জে এবার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে মাসকালাই চাষাবাদে বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষকেরা। ইতোমধ্যেই আগাম জাতের এ মাসকালাই ক্ষেত্রে সবুজের সমারোহ সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৬ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে এ মাসকালাই চাষাবাদে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই কৃষকেরা প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে এ কালাই চাষাবাদ করেছে। সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রায় দেড় মাস আগে থেকে এ মাসকালাই চাষাবাদ শুরু করা হয়েছে। এসব মাসকালাইয়ের মধ্যে রয়েছে, বারি-৩, ৪ ও ৬ এবং বিনা-১। গত আগস্ট মাসের শেষের দিকে প্রায় ৪ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের মধ্যে বারি -৩ বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া অন্যান্য জাতের মাসকালাই চাষাবাদ করেছে কৃষকেরা। আরো ২ সপ্তাহ মাসকালাই (কাতিকালাই) বীজ বপন করবেন কৃষকেরা। এ জেলার শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলাসহ চরাঞ্চলে বেশি এ মাসকালাই চাষাবাদ হয়েছে। স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, খাল, বিল, নদী পাড়, বাড়ির আঙিনা ও পতিত জমিতে এ চাষাবাদও হয়ে থাকে। কম খরচে লাভ বেশি এ চাষাবাদে কৃষকেরা প্রতি বছরের মতো এবারো ঝুঁকে পড়েছেন। বিশেষ করে চরাঞ্চলে দেশি মাসকালাই গরুকেও খাওয়ানো হয়। তবে বি-৩, মাসকালাই কয়েক সপ্তাহ পরেই কাটা ও মাড়াই শুরু হবে এবং এ নতুন ডাল বাজারে উঠবে। এতে দাম ভালো থাকলে কৃষকেরাও খুশি হবেন।
এ বিষয়ে কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক আ. জা. মু. আহসান শহীদ সরকার বলেন, প্রায় ৪ হাজার প্রান্তিক কৃষকের মাঝে আগাম জাতের মাসকালাই বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো মাসকালাই চাষে বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। কম খরচে লাভ বেশি এ চাষে কৃষকেরা এবারো খুশি হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।