বিভিন্ন ভিন্ন গ্রাফিতিতে নতুন সাজে সাজতে শুরু করেছে খুলনার পাইকগাছা উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত এলাকার দেয়ালগুলো। রংয়ের-তুলির শৈল্পিক ছোঁয়ায় যেন ভিন্ন আয়োজনে নতুন রূপ পেয়েছে দেওয়ালগুলো। পেশাদার শিল্পী না হয়েও শিল্পের সুষমায় প্রাণের উচ্ছ¡াস ঘটিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। চারিদিকে সাজ সাজ রবে উপজেলাজুড়ে পেয়েছে নতুন মাত্রা। তারুণ্যের উচ্ছ¡াসে চারিদিকে নতুনের আহ্বানে এক পলকে দেখলেই মনে হচ্ছে এ যেন চিরচেনা জনপদে পরিবর্তনের আভাস। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেয়ালগুলোতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা রংতুলিতে ফুঁটিয়ে তুলেছেন সংস্কারের নির্দেশনা, স্বাধীনতার জয়গান, তারুণ্যের উন্মাদনা, ভালোবাসার উচ্ছ¡াস, মানুষ ও মানবতার জয়গান। শিক্ষার্থীদের এই সৃজনশীল কাজে নিয়মিত উৎসাহ জোগাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। অনেকেই দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ কেউ উৎসাহ দিচ্ছেন শিক্ষার্থীদের। প্রশসংসায় ভাসছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। ‘ভয়ে কাঁপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর, স্বাধীনতার সূর্যোদয়, কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা বন্দিশালার ওই শিকল ভাঙ্গা, তারা কি ফিরিবে আজ? তারা কি ফিরিবে আজ সুপ্রভাতে, যত তরুণ গেছে অস্তাচলে। ‘পানি লাগবে পানি, ‘৩৬ শে জুলাই’, মোরা ঝঞ্জার মতো উদ্দাম’, তারা বিক্রি হতে পারে জনতা কখনো বিক্রি হয়না, জন্মেছি এক পতাকা তলে’-এ ধরনের বিভিন্ন ¯েøাগানে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা রংতুলিতে গেয়েছেন সাম্যের গান, তুলে ধরেছেন বৈষম্যের বিরুদ্ধে মানুষের অধিকারের কথা। দেয়াল লিখনের সময় কথা হয় উপজেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে। সারা দিন পরিশ্রম ও ধৈর্য সহকারে দেয়াল লিখনের কাজ করতে কেমন লাগছে জানতে চাইলে তারা সবাই সমস্বরে বলেন, খুবই ভালো লাগছে। এই দেয়াল লিখনের মধ্য দিয়ে আমরা বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে চাই। আর সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রথমেই আমরা আমাদের প্রাণের পাইকগাছা উপজেলাকে রংয়ে রংয়ে রাঙিয়ে তুলতে চাই। স্বৈরাচার পতনের মধ্য দিয়ে আমরা যে নতুন স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি দেওয়ালের ক্যানভাসে রংতুলির আঁচড়ে জাতির কাছে আমাদের স্বপ্নের কথাগুলো তুলে ধরার জন্যই এই ক্ষুদ্র আয়োজন।