ত্বকের ক্যানসার হলে সিঁড়ি ভাঙার সময়ে তা বোঝা যাবে। ক্যানসার গবেষকরা বলছেন, যতদিন যাচ্ছে, ক্যানসারের প্রকোপ তত বাড়ছে। বিদেশের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে— গত কয়েক বছরে ক্যানসারের হানায় প্রাণ হারিয়েছেন কয়েক কোটি মানুষ। ক্যানসার এমন একটি রোগ, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শুরুর দিকে শনাক্ত করা যায় না। যে কারণে ভেতরে ভেতরে ছড়িয়ে পড়ে ক্যানসার।
কথা ধরা যাক ত্বকের ক্যানসার। ত্বকের কোষে ক্যানসার বাসা বাঁধল কিনা, তা বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই। লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার ওপর নির্ভর করে ক্যানসার হয়েছে কিনা। ক্যানসার গবেষকরা বলছেন, ত্বকে ক্যানসার হয়ে থাকলে সিঁড়ি ভাঙার সময়ে তা বোঝা যাবে। লক্ষণ বোঝার আগে জানতে হবে কেন হয় ত্বকের ক্যানসার?
ত্বকের ক্যানসারের অন্যতম কারণ হচ্ছে— সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি । লন্ডনের ক্যানসার রিসার্চ সেন্টারের গবেষকরা বলছেন, অল্প সময়ের জন্য হলেও অতিবেগনি রশ্মির সংস্পর্শ মারণরোগের উৎস হয়ে উঠতে পারে। অতিবেগনি রশ্মি ত্বকে ডিনএ কোষ ভেঙে দেয়। সে কারণেই ক্যানসার মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে। তবে পরিবারে আগে থেকেই ত্বকের ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে, এ বিষয়ে একটু সতর্ক থাকা জরুরি।
ত্বকের ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ হলো ত্বকে মাংসপিণ্ড ফোলা। সেই মাংসপিণ্ডের রঙ বেশিরভাগ সময় লালচে হয়। এ ছাড়া একটানা গলাব্যথা, র্যাশও এই ক্যানসারের লক্ষণ।
তবে সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময়ে হাঁপানিও এই রোগের লক্ষণ। তবে এটা তখনই হবে, যখন ক্যানসার ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়বে। ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হলে, তখন অল্প শারীরিক পরিশ্রমেই হাঁপের টান উঠতে পারে। অল্প সিঁড়ি ভেঙে বা স্বল্প পরিশ্রমেই যদি হাঁপ ধরে যায়, তা হলে বিষয়টি একটু গুরুত্ব দিয়ে দেখা জরুরি।