৪৩তম বিসিএসের ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে জনবল নিয়োগের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এই বিসিএস থেকে বিভিন্ন ক্যাডার পদে দুই হাজার ১৩৬ জনকে নিয়োগের সুপরিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৯ম থেকে ১২তম গ্রেডের বিভিন্ন নন-ক্যাডার পদে ৬৪২ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার পিএসসির ক্যাডার (গোপনীয়) শাখার পরিচালক উম্মে আছমা আয়শা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪৩তম বিসিএস এ বিভিন্ন ক্যাডার পদে দুই হাজার ২১৮টি শূণ্য পদের বিপরীতে দুই হাজার ১৬৩টি পদে নিয়োগ সুপরিশ করা হয়েছে। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধাক্রম অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাডারে সাময়িকভাবে এই নিয়োগ সুপরিশ করা হয়।
নন-ক্যাডারের বিষয়ে বলা হয়েছে, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও পদ স্বল্পতার কারণে যেসব প্রার্থী ক্যাডার পদ পায়নি, এমন প্রার্থীদের মধ্য থেকে পছন্দক্রম অনুযায়ী বিভিন্ন গ্রেডে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপরিশ করা হয়েছে। এই বিসিএস এ ৯ম থেকে ১২তম গ্রেডে এক হাজার ৩৪২টি পদের বিপরীতে ৬৪২ জন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
যোগ্য প্রার্থী না থাকায় ৯ম গ্রেডের ৫৭টি ও ১০ম গ্রেডের ৫৮৯টিসহ মোট ৬৪৬টি নন-ক্যাডার পদে প্রার্থী মনোনয়ন করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে পিএসসি জানায়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পত্রের মাধ্যমে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন শ্রম অধিদপ্তরের ৯ম গ্রেডের সহকারী পরিচালকের ১৪টি, ১১তম গ্রেডের জনসংখ্যা ও ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার ৬টি ও ১২তম গ্রেডের শ্রম কর্মকর্তার ৫টিসহ মোট ২৫টি পদ ৪৩তম বিসিএস এর নন-ক্যাডার থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ কারণে এসব পদে মনোনয়ন করা হয়নি। এ ছাড়াও জনপ্রশানসন মন্ত্রণালয়ের অপর পত্রের মাধ্যমে অর্থ বিভাগের অধীন বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনালে এর কার্যালয়ের এসএএস সুপরিনটেনডেন্ট এর ২৯টি পদ এই বিসিএস এর নন-ক্যাডার থেকে প্রত্যাহার করার এসব পদেও মনোনয়ন করা হয়নি।