বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০১:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
২৩০ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ মানুষের কল্যাণে ডিএসসিএসসি’র প্রশিক্ষণার্থীদের অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পদত্যাগপত্র গৃহীত অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে ইসি সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে: সিইসি নির্বাচনে বাধা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা নীরব কেন : প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ হাসিনা, ডাক ও টেলিযোগাযোগে পলক ডা. এনামুর মনোনয়ন ফরম জমা দিলেন আজ মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন নিক্সন ধর্ষক সালাউদ্দিনের বিচারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন ফরিদপুরের দুইটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোট করার ঘোষণা  আজাদ ও দোলনের

জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার রায় বহাল

সিএনআই নিউজ
  • আপডেট সময় : 1:50 pm, রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে দলটির করা আপিল আজ রবিবার খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। শুনানিতে আপিলের পক্ষে আইনজীবী না থাকায় রবিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এ আদেশের ফলে এক দশক আগে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন, সে রায়ই বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী দলটির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আবেদন শুনানির জন্য ছিল। এর সঙ্গে বিচারাধীন বিষয় উপেক্ষা করে নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবির অভিযোগে কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনটিও ছিল শুনানির জন্য। কয়েক দফা শুনানি পেছানোর পর গত ১২ নভেম্বর আদালত তারিখ দিয়েছিলেন। সে ধারাবাহিকতায় রবিবার বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে।
আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানিয়া আমীর ও আহসানুল করিম।

জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন চ্যালেঞ্জ করে রিটকারী তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ কয়েকজন সম্প্রতি দুটি আবেদন করেন। একটি আবেদনে লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়। আরেকটি আবেদনে বিচারাধীন বিষয় উপেক্ষা করায় দলটির নেতাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনার আরজি জানানো হয়।

গত ২৬ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন দুটি উপস্থাপন করা হয়। সেদিন চেম্বার আদালত আবেদন দুটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। সে ধারাবাহিকতায় গত ৩ আগস্ট আবেদন দুটি আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে। এর মধ্যে ৪২ ব্যক্তি আবেদন দুটিতে পক্ষভুক্ত হতে আবেদন করেন। এই ৪২ ব্যক্তির মধ্যে আছেন, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, অধিকার কর্মী ও আইনজীবী।

২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতকে সাময়িক নিবন্ধন দেওয়া হয়। এর পরের বছরই বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন।

এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের লঙ্ঘন ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। সে রুলটি যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করা হয়। তবে এ রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াত ইসলামী আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করলে ওই বছর ৫ আগস্ট তা খারিজ হয়। পরে ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পেলে রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে জামায়াতে ইসলামী। সে আপিলে পক্ষভুক্ত হয়ে জামায়াতের নিবন্ধনের পক্ষে গত ১ আগস্ট আবেদন করেন ৪৭ ব্যক্তি।

হাইকোর্টের রায়ের পর ওই সময় বিএনপির জোট জামায়াতের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দশম, একাদশ সংসদ নির্বাচনেও অংশ নিতে পারেনি জামায়াতে ইসলামী। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০১৭ সালের মার্চে জামায়াতের জন্য বরাদ্দ দাঁড়িপাল্লা প্রতীক তালিকা থেকে বাদ দিয়ে গেজেট জারি করে নির্বাচন কমিশন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই রকম আরো জনপ্রিয় সংবাদ
© All rights reserved © 2017 Cninews24.Com
Design & Development BY Hostitbd.Com