সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভারত বর্ষার সময় পানি ছেড়ে দিয়ে আমাদেরকে বন্যা উপহার দেয়: জামায়াতের আমির সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা একনেক, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্তসহ ৪ উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন সংঘর্ষে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে যা বললেন জাতিসংঘ প্রতিনিধিদলের প্রধান রাশেদ খান মেনন আটক বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জামায়াতের উদ্দেশ্য সচেতনভাবেই ডুম্বুর বাঁধের গেট খুলে দেওয়া হয়েছে: রিজভী উপদেষ্টারা সব বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করবেন গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে আইনগত বাধা নেই দেশের প্রায় ১৮ লাখ মানুষ পানিবন্দি, ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা বরাদ্দ

পাইকগাছায় ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধে সয়লাব

মহানন্দ অধিকারী মিন্টু, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : 5:14 pm, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৩

খুলনার পাইকগাছায় সর্বত্রই ভেজাল-মানহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধে সয়লাব। এসব ওষুধ খেয়ে মানুষ উপকারের চেয়ে ক্ষতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। উপজেলা সদরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলের দোকানগুলোতে এমনকি মুদি দোকানেও এসব ওষুধ বিক্রি হয়। সচেতন মহল মনে করে, মানুষের জীবন-মরণের মাঝখানে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ভেজাল, মানহীন ওষুধ তৈরি করে ওষুধ বিক্রেতাদের বেশি লোভ দেখিয়ে, ভুল বুঝিয়ে বিক্রি করতে বাধ্য করছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের দোকানগুলোতে ডাক্তারে ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এসব ওষুধ বেশি বিক্রি হয়। ওধুষের কভার (মোড়ক) দেখে বোঝার কোনো উপায় থাকে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লোকজন ডাক্তার দেখিয়ে প্রেসক্রিপশন করাতে চায় না। এ সুযোগটাই লুফে নেয় অসাধু ব্যবসায়ীরা। উপজেলার কাঁটিপাড়া বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী মোছাব্বির আহমেদ জানান, নামিদামি কোম্পানির ওষুধের আদলে বহু ভুঁইফোঁড় কোম্পানি ওষুধ তৈরি করে। ওধুষের কভার দেখে আসল না নকল বোঝার কোনো উপায় থাকে না। গ্রামের অনেক ওষুধ ব্যবসায়ী এ ব্যবধান না বুঝেই ওষুধ বিক্রি করেন। চাঁদখালী বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান একটি নামিদামি কোম্পানির ওষুধ দেখিয়ে বলেন, এটা আগে বিক্রি করতাম ১৫ টাকায়, বর্তমানে এটি ৩৫ টাকা। আগে এক ফাইল ওষুধ খেলে কাজ হতো, এখন তিন ফাইলেও কোনো কাজ হয় না। এছাড়া ভুঁইফোঁড় কোম্পানির ওষুধ প্রায় প্রতিটি দোকানেই রয়েছে। তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, এ ব্যাপারে গোড়া থেকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু ব্যবস্থা নেবে কে! পৌরসভার সরল গ্রামের ভ্যানচালক ইমন হোসেন বলেন, তার ছেলের জ্বর ও কাঁশি হয়েছে। ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ খাইয়েছি, কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। হয়তো ছেলেকে খুলনায় নিতে হবে। একই কথা বললেন গোপালপুর গ্রামের সাঈদ গাজীর। পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন বলেন, আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। বাজারে মেয়াদোত্তীর্ণ অবৈধ ও নিষিদ্ধ ঔষধ রাখা ও বিক্রি ধরতে পারলে জরিমানা করা হবে। তিনি আরও বলেন, অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই রকম আরো জনপ্রিয় সংবাদ
© All rights reserved © 2017 Cninews24.Com
Design & Development BY Hostitbd.Com