র্যাবের গুলিতে উখিয়ায় বিএনপি নেতা জাগির হোসেনের মৃত্যু হয়েছে দাবি করে আগামীকাল বুধবার কক্সবাজারে সকাল-সন্ধ্যা পূর্ণ দিবস হরতাল ডেকেছে জেলা বিএনপি।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া বিএনপি নেতা জাগির হোসেন (৩৮) জালিয়াপালং ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি পাইন্যাশিয়া গ্রামের মৃত মো. আলমের ছেলে। মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন জাগিরের ভাতিজা শিহাব উদ্দিন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রোববার (৫ নভেম্বর) রাতে উখিয়া উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ চৌধুরীর বাসায় র্যাব ও পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী কর্মীরা যৌথভাবে বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে ঘর-ভাংচুর করে এবং গ্রামবাসীর ওপর গুলি চালায়। এতে বিএনপির তিন নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে স্থানীয় বিএনপি নেতা জাগির হোসেন (৩৭) মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বিচারে নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালিয়ে নিহতের প্রতিবাদে কক্সবাজার জেলায় বুধবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেয়া হয়।
বিবৃতিতে নেতারা জানান, কক্সবাজার জেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে একজন বিএনপি নেতা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে দুজন। গত ২৮ অক্টোবরের পরে বিভিন্ন থানায় মামলা দিয়ে ৫৫ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, গুলিতে কেউ হতাহত হয়েছে কি না জানি না। তবে রোববার রাতে র্যাবের একটি টহল দলের ওপর উখিয়ার পাইন্নাশিয়া এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিল। এ ব্যাপারে র্যাব বাদী হয়ে ৪২ জনের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় একটি মামলা করেছে।
র্যাব ১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এইচ সাজ্জাদ হোসেন জানান, রোববার রাতে পাইন্নাশিয়া এলাকায় র্যাবের টহল দলের ওপর নাশকতা সৃষ্টিকারী একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। এতে র্যাবের কয়েকজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে উখিয়া থানায় মামলা করে। কিন্তু ওইদিন ঘটনার সময় স্থানীয় কেউ আহত হওয়ার কোন তথ্য ছিল না। ঘটনার দুদিন পরের ঘটনায় একজনকে মৃত্যু দাবি করার বিষয়টি খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।