ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ৩ পুলিশ সদস্য আহত
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের পাঁচরুখী এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার পর এই ঘটনা ঘটে। এ সময় আড়াইহাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত), এএসআই, কনস্টেবলসহ কমপক্ষে ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিন পুলিশ সদস্যের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ছাড়া পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেট ও টিয়ার শেলে কমপক্ষে ৩০ জন বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৮টায় অবরোধের সমর্থনে পাঁচরুখী এলাকায় মহাসড়কে মিছিল বের করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। মিছিলে শত শত নেতাকর্মী অংশ নেন। মিছিলটি মহাসড়কে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর পুলিশ বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন ও পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও গুলি ছোড়ে।
একপর্যায়ে পুলিশকে ঘিরে ফেলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক বিএনপির নেতাকর্মী ও আড়াইহাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন মিয়া, এএসআই আব্দুল মতিন ও কনস্টেবল নুরূল হকসহ কমপক্ষে ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন।
ঘটনার সময় কয়েকটি বাস ভাঙচুর, মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে যুবলীগের নেতাকর্মীরাও লাঠিসোঁটা হাতে ঘটনাস্থলে আসেন। পরে তাদেরও ধাওয়া দেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এই ঘটনায় কয়েকজন আওয়ামী লীগকর্মী গুরুতর আহত হন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ জানান, আমাদের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলায় আহত হয়েছেন। পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নির্বিচারে গুলি করেছে। তবুও আমরা ৭২ ঘণ্টা রাজপথে থেকে অবরোধ সফল করব।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ মিছিল করতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কমপক্ষে ১০ জন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে বিএনপি নেতারা। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।