যশোরর অভয়নগরে ‘স্বপ্ন’ সুপারশপের বিক্রয়কর্মী তরুণী বিথী খাতুন ছুরিকাঘাতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার আহত তরুণীর চাচা আনছার আলী শেখ বাদি হয়ে হামলাকারী হবিরুল ইসলাম ওরফে আরাফাত শেখ অভিসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রধান অভিযুক্ত অভিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত হবিরুল ইসলাম ওরফে আরাফাত শেখ অভি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার ভান্ডাব (শেখবাড়ি) গ্রামের মৃত ছফির উদ্দিনের ছেলে।
তিনি সেনাবাহিনীর চাকুরিচ্যুত একজন সেনা সদস্য ও আহত বিথী খাতুনের তালাকপ্রাপ্ত স্বামী।
আহত তরুণী বিথী খাতুন উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের কোটা গ্রামের মৃত লুৎফর রহমান শেখের মেয়ে। তিনি নওয়াপাড়া বাজারে স্বপ্ন সুপারশপে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মামলার বাদি আনছার আলী শেখ জানান, এক বছর পূর্বে আসামি অভির সঙ্গে তার ভাইজির পারিবারিকভাবে তালাক হয়।
এরপর অভি প্রায় অভয়নগরে আসতেন এবং তার ভাইজিকে পুনরায় বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতেন। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে অভি তার ভাইজিকে হত্যার উদ্দেশে ৩/৪ জন অজ্ঞাতনামা যুবককে সঙ্গে নিয়ে নওয়াপাড়া বাজারে স্বপ্ন সুপারশপে প্রবেশ করেন। এসময় অভি পুনরায় বিয়ের প্রস্তাব দিলে তার ভাইজি চলে যেতে বলেন। তারা সুপারশপ থেকে বেরিয়ে যান।
কিছুসময় পর অভি সুপারশপে একা প্রবেশ করেন এবং পকেটে থাকা চাকু দিয়ে তার ভাইজিকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে দৌঁড়ে পালিয়ে যান। যার সিসিটিভি ফুটেজ সুপারশপে রয়েছে। বর্তমানে তার ভাইজির শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। খুলনা গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
অভয়নগর থানার ওসি এ বি এম মেহেদী মাসুদ জানান, নওয়াপাড়া বাজারে ‘স্বপ্ন’ সুপারশপের ভেতরে বিক্রয়কর্মী তরুণী বিথী ছুরিকাঘাতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার আটক রয়েছে। প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যশোর সদর হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। অন্যান্য আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নওয়াপাড়া বাজারে স্বপ্ন সুপারশপের বিক্রয়কর্মী তরুণী বিথী খাতুনকে তার তালাকপ্রাপ্ত স্বামী হবিরুল ইসলাম ওরফে আরাফাত শেখ অভি এলাপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে আহত করেন। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ অভিকে আটকে ধোলাই দিয়ে অভয়নগর থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।