জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) তিনটি আবাসিক হলে অজ্ঞাত ব্যক্তি কর্তৃক ছাত্রী হেনস্তার ঘটনার এক দিন পর বেগম সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মোতাহার হোসেন পদত্যাগ করেছেন। সোমবার (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
অধ্যাপক মোতাহার হোসেনের পদত্যাগের পর বেগম সুফিয়া কামাল হলের নতুন প্রভোস্ট হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলোজির (আইআইটি) অধ্যাপক কে এম আক্কাছ আলীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে ছাত্রী হেনস্তার ঘটনার পর হল প্রভোস্টের পদত্যাগে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ছাত্রী হলে চুরির চেষ্টা ও হেনস্তার ঘটনায় প্রতিবাদসরূপ পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক মোতাহার হোসেন।
তিনি বলেন, ‘২০১৯ ও ২০২১ সালে নিরাপত্তার স্বার্থে হলের পূর্ব পাশের সীমানাপ্রাচীরের উচ্চতা বৃদ্ধি, পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কয়েকবার চিঠি দেওয়ার পরেও কোনো ভ্রুক্ষেপ করেনি। এমনকি ২০২১ সালে হ্যালোজেন লাইটের জন্য বারবার আবেদন করার পরও প্রশাসন কোনো সহযোগিতা করেনি। এ জন্যই চুরি ও ছাত্রী হেনস্তার ঘটনাগুলো ঘটছে। এসব ঘটনায় মর্মাহত হয়ে প্রতিবাদস্বরূপ আমি পদত্যাগ করেছি।’
গত ১২ মার্চ ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল হল, বেগম খালেদা জিয়া হল ও শেখ হাসিনা হলে ঢুকে মেয়েদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও হেনস্তা করে অজ্ঞাত যুবক। এর আগে গত ৭ মার্চ ভোরেও শেখ হাসিনা হলে এমন ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রবিবার (১২ মার্চ) রাতে চুরি, হেনস্তা ও নিরাপত্তাহীনতার প্রতিবাদ ও নিরাপদ হলের দাবিতে বেগম সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা মিছিল ও বিক্ষোভ করেন।