নাটোরের সিংড়ায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১২ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এতে নারীসহ আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ সময় উভয়পক্ষের ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে চলনবিলের দুর্গম এলাকা বেড়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে বেড়াবাড়ি গ্রামে রেজাউল নামের একজন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। হত্যা মামলার আসামিরা বাদীপক্ষকে মামলা তুলে নিতে ও সাক্ষী না দিতে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিলেন। অপরদিকে, মসজিদের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র সম্প্রতি বিষয়টি জোরালো হয়। শুক্রবার মসজিদের কমিটি গঠন হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি।
নিহত রেজাউলের স্ত্রী মনিরা বেগম জানান, শনিবার সকালে আমার স্বামী হত্যা মামলার তিন নম্বর আসামি সাইফুলের নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালায় প্রতিপক্ষরা।
জানা গেছে, এ হামলায় শামীম প্রামাণিক, মনসুর রহমান, আলী আজগর, আ. মান্নান, সাইদুর, সবুজ, শুভ, আব্দুর রউফ, দীপন, জামাল, বাবু সরকার, আমিরুল তালুকদার গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া মোজাম্মেল, লাকী বেগম ও শিরিনা বেগমকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ সাইফুল গ্রুপ। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। এদিকে, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় উভয়পক্ষের ৯ জনকে আটক করে পুলিশ।
ডাহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল মজিদ মামুন বলেন, বেড়াবাড়ি গ্রামে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরে। আমরা বার বার চেষ্টা করেও সমাধান করতে পারিনি। প্রশাসনের কাছে আবেদন এলাকায় শান্তি ফেরাতে তারা যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।
সূত্র জানায়, এ ঘটনার পর সাইফুলের পক্ষের লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। এ কারণে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা উভয়পক্ষের ৯ জনকে আটক করে থানায় এনেছি। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।