ভোলার দৌলতখানে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ডুবে নিখোঁজের তিন দিন পর নোমান (২৭) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের সময় তার মুখমণ্ডল থেঁতলানো নাক ফাটা দেখা গেছে। রবিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয়রা পাতার খাল মাছ ঘাট এলাকায় ভাসমান লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ দিকে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে লালমোহন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহুরুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এ ছাড়াও ঘটনার সাথে জড়িত প্রথমে দৌলতখান থানার গাড়িচালক রাসেল ও সজীব নামে দুই কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এর একদিন পর দৌলতখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) স্বরূপ কান্তি পাল ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহেল রানাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরে নোমানের লাশ শনাক্ত করে তার পরিবার। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে দৌলতখান উপজেলার পাতার খাল মাছ ঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় নোমানসহ কয়েকজন জুয়া খেলছিলেন। এ সময় এসআই স্বরূপ কান্তি পাল ও এএসআই সোহেল রানাসহ চার পুলিশ সদস্য তাদের জুয়ার আসরে ধাওয়া করে। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নোমানসহ কয়েকজন মেঘনা নদীতে পড়ে যায়। তাদের মধ্যে সবাই সাঁতরে তীরে ভিড়তে পারলেও নোমান আসতে পারেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নোমান নদীতে পড়ে যাওয়ার পর পুলিশ তাকে উদ্ধার না করে তাকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করতে থাকে। তাদের ধারণা পুলিশের ইটের আঘাতে নোমান নদী থেকে সাঁতরে তীরে ওঠে আসতে পারেনি।