সর্দি বা ঠাণ্ডায় কাপের পর কাপ চা পান করে সবাই। এ ছাড়া শীতে গরম গরম চা খেতে ভালোই লাগে। কিন্তু এত ঘন ঘন আদা চা খেলে কি শরীরে এর কোনো প্রভাব পড়তে পারে? আজ সেই বিষয়েই চলুন জেনে নিই।
আদা চায়ের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
আদা চায়ের গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে বলে জানা যায়নি।
শরীরের ক্ষতি করতে হলে যে পরিমাণ চা আপনাকে খেতে হবে, তা হয়তো এক দিনে খেতে পারবেন না।
অনেকে মনে করেন আদা পিত্তরস উৎপাদন বাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু এর কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। তবুও যদি আপনার পিত্তথলির সমস্যার ইতিহাস থাকে, তবে আদা চা পান করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
অতিরিক্ত পরিমাণে আদা পেটে গেলে বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে। যেটা হার্টবার্ন নামে পরিচিত। আদায় থাকা জিঞ্জারোল এর কারণ।
পেট ফাঁপা বা পেট খারাপ হতে পারে। বেশি পরিমাণে আদা চা পাচনতন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
যদি আপনার অ্যালার্জির সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আদা চা পান করলে মুখে এবং পেটে অস্বস্তি হতে পারে।
আদা চা কিন্তু রক্তচাপ কমিয়ে দিতে পারে।
অতিরিক্ত আদা খেলে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়তে পারে। আদার মধ্যে রয়েছে স্যালিসিলেট, অ্যাসপিরিনের রাসায়নিক উপাদান, যা রক্ত পাতলা করার কাজ করে।
দিনে চার গ্রামের বেশি আদা খেলেই শুধু ওপরের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো দেখা দিতে পারে।
আদা চায়ের স্বাস্থ্যগুণ
আদা চা কাশি এবং ঠাণ্ডাজনিত রোগ নিরাময় করতে পারে। আবার গবেষণায় জানা গেছে, আদা রক্তচাপ কমাতে পারে।
জিঞ্জারোল আদার একটি উপাদান। যা ল্যাবের পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই উপাদান টিউমার বৃদ্ধি দমন করতে পারে। অনেকে বলেছেন, আদা চা বাতের ব্যথা এবং পেশির ব্যথা উপশম করে।
আদা চা ঐতিহ্যগতভাবে পেটের সমস্যার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সবচেয়ে ভালো কাজ করে বমি ভাব দূর করতে। বিশেষ করে কেমোথেরাপি বা অস্ত্রোপচারের জন্য যে বমি ভাব হয় তার জন্য।
তবে গর্ভাবস্থায় অসুস্থতা থেকে মুক্তি দিতে আদা ব্যবহার করা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
আপনি যদি গর্ভবতী হন, ক্যান্সারের থেরাপির মধ্যে থাকেন বা অস্ত্রোপচার হবে এমন অবস্থায় থাকেন, তবে বমি ভাব কমানোর জন্য আদা খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।