উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির প্রভাবে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার অতিক্রম করেছে। আর সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে বিপৎসীমার এক সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তলিয়ে যাচ্ছে নিচু এলাকার জমির ফসল। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা।
পাউবো সূত্র জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি কাজিপুর পয়েন্টে ৩৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর বেলা ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে এলাকায় ৩০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার মাত্র ১ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীর পানি এভাবে বাড়তে থাকলে নীচু এলাকায় বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে ভাঙনসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে পাউবো। আর যে সব জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে সেখানে জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
এদিকে, যমুনা নদীতে পানি বাড়ার কারণে অভ্যন্তরীণ নদ-নদী ফুলজোড়, করতোয়া, বড়াল, হুড়াসগর, ইছামতিসহ চলনবিলে পানি বড়ছে। এতে নিচু এলাকা ও চরাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এসব এলাকার ফসলি জমির পাট, তিল, কাউন, বাদাম, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের উঠতি ফসল নষ্ট হচ্ছে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন কৃষকরা।
কাজিপুরের তেকানী ইউপির চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ জানান, চরাঞ্চলের আবাদি জমি ও মাঠগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। মানুষজন গবাদী পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। তারা বন্যা আতঙ্কে রয়েছেন।
সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউপির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক জিয়া মুন্সী জানান, চরের নীচু জমিগুলো প্লাবিত হয়েছে। যেভাবে পানি বাড়ছে, তাতে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাড়িগুলোতেও পানি উঠবে।