গত ঈদুল ফিতরের একদিন আগে কাল বৈশাখীর প্রচন্ড ঝড়ে লন্ডভন্ড হয় পুরো এলাকা। ওই দিনের ঝড়ে একটি বিশাল আকৃতির বট গাছ উপড়ে যায়। তার কয়েকদিন পরে গাছটি বিক্রি করে দেন মালিক। গাছের ব্যাপারী শ্রমিক দিয়ে ডালপালাও ছেটে চলে যান। এরপর গত শনিবার ভোরে ডালপালা ছাঁটা গাছটি আগের স্থানে দাঁড়িয়ে গেছে নিজ থেকেই। এর পর থেকে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অলৌকিক এই ঘটনাকে ঘিরে ওই গ্রামের একটি মহল মাজার তৈরি করে টাকাপয়সা হাতিয়ে নেয়ার পায়তারা করছে। ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের স্থলবাড়ি গ্রামের মধ্যপাড়ায়।
সরেজমিন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডালপালা ছাঁটা গাছটি দাঁড়িয়ে গেছে। ওই স্থানে স্থানীয়রা বাঁশের বেড়া দিয়ে লাল পতাকা টানিয়ে দিয়েছেন। টাকা তোলার জন্য জায়নামাজ বিছিয়ে দেয়া হয়েছে। কেউ কেউ টাকা পয়সা দিতে শুরু করেছেন। ঘটনাটি দেখতে আশপাশের এলাকা থেকে এসে হাজার হাজার উৎসুক জনতা ভীড় করছে।
স্থানীয় জলিম উদ্দিন বলেন, ফজরের নামাজ পইড়া যাওয়ার সময় দেহি গাছ শুইয়াই আছে। পরে সাতটার সময় দেহি কয়েক মিনিটের মধ্যে খাড়া হয়া গ্যাছে। জায়নামাজ পাইরা দিছি। টাকা তুইলা জুম্বাত দিমু। ঘটনাটি দেখতে আসা আলমপুর গ্রামের সোহাগ মিয়া জানান, শুনেছি এখানে পড়ে যাওয়া বট গাছ নিজে নিজেই দাঁড়িয়ে গেছে। অলৌকিক এই ঘটনা দেখতে এসেছি। গাছটির মালিক শিবলু রহমান জানান, ৭ হাজার টাকায় গাছ বিক্রি করে দিয়েছি। কাটাও শুরু করেছিল ব্যাপারী। হঠাৎ আজকে সকালে গাছটি দাঁড়িয়ে গেছে। গাছটির চারদিকে বাঁশের বেড়া দিয়ে লাল পতাকা টানিয়ে দিয়েছি।
এ ব্যাপারে মুফতি আবু বকর সিদ্দিক জানান, গাছটির আগার চেয়ে গোড়ার ওজন হয়তো বেশি ছিল। তাই পূর্বের অবস্থায় দাঁড়িয়ে গেছে। বিষয়টিকে পুজি করে মাজার তৈরি করা একটি বেদাত কাজ। এখানে জায়নামাজ বিছিয়ে টাকা তুলে মসজিদ দেয়া নাজায়েজ। স্থানীয় ইউপি সদস্য কেএম আনোয়ার হোসেন জানান, ঘটনা শোনার পরে আমি এখানে এসেছিলাম। গাছের গোড়ায় ওজনের পরিমান বেশি ছিল তাই দাঁড়িয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে যাতে এলাকায় বিশৃঙ্খলা না হয় সেদিকে নজর রাখছি।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, লোকমুখে ঘটনা শুনেছি। সরেজমিন খোঁজ নিতে হবে। #(ছবি আছে)
ছবিঃ ঝড়ে উপড়ে পড়া বটগাছ নিজে নিজেই দাঁড়িয়ে গেছে। দেখতে উৎসুক জনতার ভীড়। সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের স্থলবাড়ি গ্রামে।