২০১৭ সালে পিয়াসা নামটি আলোচনায় এসেছিল। উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন করায় সে বছর তাকে তালাক দেন দেশের প্রথম সারির জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের ছেলে সাফাত হোসেন। এ নিয়ে সামাজিক মহলে আলোচিত হন তিনি।
তবে খবরের পাতায় তার নাম আসে ২০১৯ সালে। সে বছর দিলদার আহমেদ সেলিম তার সাবেক পুত্রবধূর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। তার সেই সাবেক পুত্রবধূর নাম ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা। এই পিয়াসাই সেই পিয়াসা। চাঁদা দাবির অভিযোগে ২০১৯ সালের ৫ মার্চ পিয়াসার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন দিলদার আহমেদ। মামলার পর ঢাকার মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান পিয়াসা। মামলাটি জামিনযোগ্য হওয়ায় তাকে জামিন দেন আদালত।
মামলায় দিলদার আহমেদ সেলিম অভিযোগ করেছেন, পিয়াসা দিলদারপুত্র সাফাতকে ফাঁদে ফেলে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি বিয়ে করেন। পরে তারা জানতে পারেন যে পিয়াসা মাদকাসক্ত এবং উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপনে অভ্যস্ত। তাই ২০১৭ সালের ৮ মার্চ পিয়াসাকে তালাক দেন সাফাত। এরপর রাজধানীর রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পিয়াসার স্বামী সাফাত জড়িত ছিলেন। তখন আবার ঘুরে ফিরে পিয়াসার নামটি আলোচিত হয় সামাজিক মহলে।
এদিকে ২০১৯ সালের ১১ মার্চ দিলদারের বিরুদ্ধেও একটি মামলা করেন পিয়াসা। মামলায় অভিযোগ আনা হয়, দিলদার আহমেদ পিয়াসাকে গর্ভপাতের চেষ্টা, নির্যাতন, হত্যার হুমকি দিয়েছেন। তবে সে বছরের ১৭ জুলাই পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. মজিবুর রহমান আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, পিয়াসার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
কয়েক মাস আগে রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে মোসারাত জাহান (মুনিয়া) নামে এক তরুণীর মরদেহ। ঘুরে ফিরে এখানেও আলোচনায় আসে পিয়াসার নাম। এবার ওই তরুণীর বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে উঠে এসেছে পিয়াসার নাম। এর রেশ কাটতে না কাটতেই আবার আলোচনায় সেই পিয়াসা।
রোববার (১ আগস্ট) রাতে বিপুল পরিমাণ মদ, ইয়াবা ও সিসাসহ মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি। রাজধানীর বারিধারার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। তার বাড়িতে তল্লাশির এক পর্যায়ে বিভিন্ন কক্ষে থাকা বিপুল মদ, ইয়াবা ও সিসা খাওয়ার সরঞ্জাম উদ্ধার হয়। যেগুলো পিয়াসা নিজেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বের করে দেন।