
অপরাধ ডেস্ক:
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ‘মাস্টার’, ‘মাঝি’ এবং ‘সহকারী মাঝি’রা ইয়াবার ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা আয় করছে, সে সাথে ক্যাম্পে আধিপত্য বজায় রাখতে গড়ে তুলছে অবৈধ অস্ত্রের মজুদ।
অস্ত্র এবং ইয়াবার ক্যারিয়ারে রাজি না হলে সাধারণ রোহিঙ্গাদের উপর চলে অমানুষিক নির্যাতন। এ অবস্থায় ৬শ’ মাঝি এবং ১২শ’ সহকারী মাঝিকে নজরদারির মধ্যে আনতে চায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনী।
অস্ত্র-ইয়াবা এবং নগদ টাকাসহ গ্রেফতারকৃত বেশ কজন রোহিঙ্গা রয়েছে নগর পুলিশের হেফাজতে। ইয়াবার বিনিময়ে ক্যাম্পে অস্ত্র নিতে গিয়ে যেমন তারা গ্রেফতার হয়েছে, তেমনি ইয়াবা বিক্রির কোটি টাকাসহ গ্রেফতার হয়েছে রোহিঙ্গা দম্পতি। আর রিমান্ড জিজ্ঞাসাবাদে বের হয়ে আসছে, ক্যাম্প ভিত্তিক রোহিঙ্গা নেতাদের চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বিশেষ করে আধিপত্য বিস্তারের পাশাপাশি ইয়াবা ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে রোহিঙ্গা নেতারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাই অস্ত্রের সন্ধানে তারা এখন বন্দরনগরী চট্টগ্রাম এবং রাজধানী ঢাকামুখী হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে সিএমপির উপ কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান বলেন, মাস্টাররা ইয়াবা বিক্রি করে বিত্তবান হয়ে যাচ্ছে। নিজেদের প্রভাব আরো বাড়ানোর জন্য তারা অস্ত্র সংগ্রহ করছে।
রিমান্ডে থাকা সাধারণ রোহিঙ্গাদের দাবি, ক্যাম্পগুলোতে এখন চলছে মাস্টার, মাঝি এবং সহকারী মাঝিদের ত্রাসের রাজত্ব। অস্ত্র ও ইয়াবা ক্যারিয়ারে রাজি না হলে সাধারণ রোহিঙ্গাদের অপহরণ করা হচ্ছে। হত্যার পর লাশও গুম করছে প্রভাবশালী রোহিঙ্গা নেতারা। শুধুমাত্র টেকনাফের লেদা ক্যাম্পের সাতজন মাষ্টার ও মাঝির নাম পেয়েছে পুলিশ যারা সরাসরি অস্ত্র ও ইয়াবা ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত।
এ অবস্থায় কক্সবাজার জেলার টেকনাফ এবং উখিয়া থানা এলাকার ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৬শ মাঝি এবং ১২শ সহকারী মাঝির তালিকা সংগ্রহ করেছে পুলিশ প্রশাসন। শুরু হচ্ছে তাদের উপর নজরদারি। মূলত ক্যাম্পগুলোতে প্রশাসনিক দায়িত্বের সুবিধার্থে রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকেই এসব মাঝি, সহকারী মাঝিদের নিয়োগ দেয়া হয়েছিলো।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডি আই জি আনোয়ার হোসেন বলেন, তাদের সম্পর্কে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি।
গত এক সপ্তাহে নগরীতে পুলিশ ও র্যাবের পৃথক অভিযানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক অস্ত্র এবং ইয়াবা ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত অন্তত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে নগদ টাকাসহ বিপুল পরিমাণ ইয়াবা।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.