সাব্বির হোসেন:
সাভারে এক নারী শ্রমিক গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এছাড়াও পৃথক ঘটনায় এক পাঁচ বছরের মেয়ে শিশু ধর্ষণ ও পাঁচ বছরের এক শিশু ছেলেকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে এক গার্মেন্টস শ্রমিকের বিরুদ্ধে।
এঘটনায় বুধবার বিকেলে গণধর্ষণের শিকার ওই নারী শ্রমিক ছয় জনের নাম উল্লেখ করে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ জানায়, সাভারের মুক্তিরমোড় এলাকায় মুকুল মিয়ার বাড়িতে সিংগাইর এলাকার আখতার ফার্ণিচারের নারী শ্রমিক (২৫) স্বামী নিয়ে একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। পরে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই নারী শ্রমিকের ঘরের দরজা ভেঙ্গে স্থানীয় রিকসা গ্যারেজের ছয়জন ব্যক্তি প্রবেশ করে মুখ চেপে ধরে পালাক্রমে গণধর্ষণ করেন ওই নারীকে। এসময় গণধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেন ধর্ষণকারীরা। পরে বুধবার বিকেলে ওই নারী গণধর্ষণের অভিযোগে ছয় জনের নাম উল্লেখ করে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গণধর্ষণের শিকার ওই নারী শ্রমিককের স্বামী নুরুল ইসলাম ব্যক্তিগত কাজে বর্তমানে গ্রামে থাকায় ধর্ষণকারীরা এই সুযোগে ঘরে প্রবেশ করে তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে গণধর্ষণ করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
গণধর্ষণের শিকার ওই নারীর বাড়ি নওগাঁ জেলার মান্দা থানার বন্দিপুর গ্রামে।
অন্যদিকে, সাভারের আনন্দপুর এলাকার একটি বাড়িতে পাঁচ বছরের এক মেয়ে শিশুকে ধর্ষণ করে মনোয়ারুল ইসলাম নামের এক গার্মেন্টস শ্রমিক। এসময় তিনি ওই বাড়ির আরেক প্রতিবেশী পাঁচ বছরের এক ছেলে শিশুকে বলাৎ করেন। গত সোমবার আনন্দপুর এলাকার ভাড়া বাড়িতে এ ধর্ষণ ও বলাৎকারের ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি মিমাংশা করার চেষ্টা করছিলো স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র। পরে বুধবার বিকেলে ধর্ষণকারী ব্যক্তি মনোয়ারুল ইসলামকে আটক করে সাভার মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে স্থানীয়রা। আটক ধর্ষণকারী রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার ঠাঁকুরবাড়ি গ্রামের নয়া মিয়ার ছেলে।
পুলিশ বলছে ধর্ষণের শিকার তিনজনকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এবিষয়ে সাভার মডেল থানার এস আই (উপ-পরিদর্শক) সাফায়েত বলেন গণধর্ষণের শিকার ওই নারী ছয়জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আসামীদের আটকের প্রক্রিয়া চলছে।