কেশবপুর(যশোর) প্রতিনিধিঃ
কেশবপুরে ৬৫ পিচ ইয়াবাসহ ৩ মাদক সম্রাট আটক করেছে পুলিশ। পৃথক অভিযানের মাধ্যমে এই মাদক ব্যাবসায়ীদের আটক করা হয়্।
থানা সুত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেশবপুর থানার এস আই ওয়াসিম আকরাম,অরুপ কুমার এবং এস আই সু-প্রভাত ও মনিরুল ইসলাম বুধবার রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ঐ ৩ মাদক স¤্রাটকে আটক করে। এসময় তারা তাদের দেহ তল্লাসী করে ৬৫ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে ।
আটককৃত ৩ মাদক ব্যবসায়ীরা হলো,উপজেলার মজিদপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহিম আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী,আড়–য়া গ্রামের ভুট্ট সরদারের ছেলে মিন্টু সরদার ও শহরের মধু সড়কে বসবাসকারী শওকাত আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মাদক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়েছে। যার নং-১৭ ও ১৮। তারিখ,২৪-০৬-২০ ইং।
এব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জসিম উদ্দীন জানান,আটক ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে বুধবার যশোর আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
দৈনিক নওয়াপড়ার ব্যবস্থাপনা সম্পাদকের মৃত্যু…….
কেশবপুর নিউজক্লাবের কর্মরত সাংবাদিকের শোক বিবৃতি
কেশবপুর(যশোর) প্রতিনিধি।।
দৈনিক নওয়াপাড়া পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, সাবেক কৃতি ফুটবলার ও পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আসলাম হোসেনর ছোট ভাই বেলাল হোসেনের মৃত্যুতে তার রুহের মাগফিরাত কমনা করে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন কেশবপুর নিউজক্লাবের সভাপতি এ.এইচ.এম কামরুজামান হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি এম.এ রহমান, সাধারন সম্পাদক রুস্তম আলী, যুগ্ন সম্পাদক দেব্রত ঘোষ ফটিক, দপ্তর সম্পাদক এ.কে সোহাগ, সদস্য একরামুর কবির, আব্দুল খালেক, রোকুনুজ্জামান, এম.এ গনি বিশ্বাস, মনিরুজ্জামান, ছফিউল্লাহ,সালেহা খাতুন চায়নাসহ ক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দ।
উল্লেখ্য, কৃতি ফুটবলার বেলাল হোসেন দীর্ঘদিন যাবত কিডনি রোগে ভুগছিলেন। এবং খুলনা সিটি হাসপাতালে তিনি নিয়মিত ডায়ালসিস নিতেন। বৃহস্পতিবার ১৮ জুন তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধিন অবস্থায় বুধবার ভোরে সবইকে কাঁদিয়ে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান।
কেশবপুরে লাগামহীনভাবে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ॥ বিপাকে নিন্ম আয়ের মানুষ
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি।।
কেশবপুরে লাগামহীন ভাবে বাড়ছে নিত্যপ্রযোজনীয় দ্রব্যের মূল্য। ক্রয় ক্ষমতার বাইরে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে নিন্ম আয়ের মানুষেরা। ভ্রাম্যমান আদালত, জেল-জরিমানার মত কঠোর আইন প্রনয়ন করেও কোন ভাবেই যেন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছেনা। হু-হু করে বাড়ছে জিনিস-পত্রের দাম।
বাজার করতে আসা নিন্ম আয়ের অনেকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম তাদের ক্রয় ক্ষতার বাইরে চলে গেছে। করোনার কারনে তাদের আয় রোজগার নেই বলেল চলে। একদিকে সরকার রাস্তায় নামতে দিচ্ছেনা অন্য দিকে তারা কোন সরকারীভাবে সাহায্য-সহযোগীতাও পাচ্ছেনা। কিন্তু পেটের ক্ষুধাতো সেটি শুনবে না। বৌ-বাল বাচ্ছাদের মুখে দু বেলা দু মুঠো আহারের জন্য ধারদেনা করে ছুটতে হচ্ছে বাজার করতে। বজারে এসে জিনিস পত্রের দাম শুনলে মাথা যেন ঘুরে যাচ্ছে। দাম এত বেশি কেন? শুনতেই মুখের উপর দোকান্দাররা বলে বসে দাম কম নাই,নিলে নেও, নানিলে কেটে পড়, করোনা ও ঘুর্নিঝড় আম্ফান সব জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।ক্রেতাদের ভাষায়, মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে ৩০ টাকার কেজি মোটা চাউল এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৩ টাকা, ৪০ টাকার কাঁচা ঝাল ১০০ টাকা, ৪০ টাকার পেয়াজ ৬০ টাকা,২০ টাকার বেগুন ৭০ টাকা, ১০ টাকার পেপে ৪০ টাকা, ২০ টাকার কাঁচকলা ৪০ টাকা, এক কথায় শুধুমাত্র মিষ্টি কুমড়া বাদে সকল তরিতরকারীর দাম দুই থেকে তিন মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মুল্য বাড়ার ব্যাপারে দোকান্দাররা বলেন, বিশেষ করে ঘুর্নিঝড় আম্ফান ও মুষলধারার বৃষ্টির ফলে কাঁচা তরিতরকারীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া করোনার কারনে বাইরে থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কম আসার কারনে কেশবপুরে চাহিদার তুলনায় দ্রব্যের মজুত কম থাকায় জিনিস পত্রের দাম বাড়ছে।