সিএনআই নিউজ:
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৫৩১ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৪৬৪ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন এক লাখ ১২ হাজার ৩০৬ জন।
আজ রবিবার (২১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা ৩৫ জন পুরুষ এবং চারজন নারী। এঁদের বয়স ০ (শূন্য) থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে চারজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে দুইজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৪৬৪ জনের।
জানানো হয়, নতুন যে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা ঢাকা বিভাগের ১৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জন, রাজশাহী বিভাগের দুইজন, খুলনা বিভাগে চারজন, বরিশাল বিভাগের চারজন, রংপুর বিভাগের একজন এবং সিলেট বিভাগের একজন। হাসপাতালে মারা গেছেন তিন জন এবং বাসায় ছয়জন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৮৪ জন।
ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৫ হাজার ৭১০টি। একই সময় পূর্বের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে ১৫ হাজার ৫৮৫টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে তিন হাজার ৫৩১ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন এক লাখ ১২ হাজার ৩০৬ জন। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ছয় লাখ ১২ হাজার ১৬৪টি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৬২টি ল্যাবের মধ্যে ৬০টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার ফলে এই তথ্য এসেছে বলে জানান তিনি।
ব্রিফিংয়ের শুরুতেই জানানো হয়, করোনা পরীক্ষায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরো একটি ল্যাব চালু হয়েছে। এটি হলো রাজধানীর এএমজেড হাসপাতাল লিমিটেড। এ নিয়ে করোনা পরীক্ষায় দেশের এখন ল্যাবের সংখ্যা দাঁড়াল ৬২টিতে।
আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৬৩১ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩৫৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন ১৯ হাজার ৮১৪ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন সাত হাজার ৬২৪ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ১৯০ জন।
কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন দুই হাজার ৮১৯ জন। একইসময় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ১৩২ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট তিন লাখ ৩৯ হাজার ৫৮৩ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ৭৬ হাজার ৩৭৮ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬৩ হাজার ২০৫ জন।
সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে সেবা প্রদান যায় বলে জানানো হয় বুলেটিনে।
বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে এক লাখ ৭৬ হাজার ৫৯৭টি। এ নিয়ে এ পর্যন্ত হটলাইনে এক কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার ১০৩ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা বেড়েছে আরো দুইজন। এ নিয়ে এখন মোট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬ হাজার ৩৮৩ জনে। এ ছাড়া বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে হটলাইনে চার হাজার ২১৭ জন চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানানো হয় বুলেটিনে।