অনলাইন ডেস্ক:
করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক নিয়ে এখনও অথৈ জলে বিজ্ঞানীমহল। রোজই চলছে নিত্যনতুন গবেষণা। এমন পরিস্থিতে দাঁড়িয়ে একদল গবেষক জানালেন, অতি পরিচিত ৬৯টি ড্রাগ করোনা মোকাবিলায় দিশা দেখাতে পারে। এর মধ্যে বেশিরভাগ ড্রাগকেই মান্যতা দিয়েছে মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। মধুমেহ, ক্যানসার ও হাইপারটেনশনের মতো রোগে এই ওষুধগুলি ব্যবহার হয়।
গত বছের শেষের দিকে চিনের ইউহানে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী ভাইরাস COVID-19। চিন থেকে এখন এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে সমগ্র বিশ্বে। ইটালি, ইরান, স্পেন হয়ে বর্তমানে এর ভরকেন্দ্র আমেরিকা। এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৩ হাজার। আক্রান্ত পাঁচ লক্ষেরও বেশি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত করোনার কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেনি বিশ্বের কোনও দেশ। এই পরিস্থিতিতে ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকদের মন্তব্য যেন এক টুকরো আশার আলো। তাঁদের গবেষণা ‘bioRxiv’ নামে একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এই গবেষণার জন্য তাঁরা করোনা ভাইরাসের প্রায় ১০০টি জিন পরীক্ষা করেন। মানবদেহের উপর এই ভাইরাস কীভাবে প্রভাব বিস্তার করছে, তা নিয়েও গবেষণা চালান তাঁরা। তাঁদের মতে, এই ভাইরাসের গতিপ্রকৃতি বোঝার জন্য তাঁরা মানবদেহের প্রোটিনের উপর নজরদারি চালিয়েছিলেন। সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তাঁদের হাতে আসে। গবেষণায় দেখা যায়, মানুষের দেহে এমন ৩৩২টি প্রোটন রয়েছে যেগুলি ভাইরাসকে আকর্ষণ করতে সাহায্য করে। পূর্বে উল্লিখিত ওই ৬৯টি ড্রাগ মানবদেহের ওই প্রোটিনগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। এর ফলে ভাইরাস দেহে প্রবেশ করতে পারে না। এই ৬৯টি ড্রাগের মধ্যে ২৪টিকে ইতিমধ্যে FDA সিলমোহর দিয়েছে। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় এই ড্রাগগুলি ব্যবহারও হয়েছে। বর্তমানে COVID-19-এর প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। গবেষকরা জানিয়েছেন আরও ১৮ মাস লাগবে প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে। এর মাঝে এই ৬৯টি ড্রাগ করোনার চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র- সংবাদ প্রতিদিন
আরো পড়ুন-