সিএনআই নিউজ : চমকের এই দুনিয়ায় প্রতিদিন নিত্যনতুন ঘটনা ঘটে। কিন্তু মানুষের কাঁচা মাংস নিয়ে এসে তা রান্না করে স্ত্রীকে খাওয়ানোর চেষ্টা মনে হয় কেউই করেনি। গত সোমবার এই পৈশাচিক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বিজনরের টিক্কোপুর গ্রামে। স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ৩২ বছরের ওই যুবক সঞ্জয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর চমকে উঠেছেন সবাই। যুবকটির মানসিক অবস্থা
নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এদিকে, এই ঘটনার পর আর শ্বশুরবাড়িতে ফিরতে চাইছেন না
তার স্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে স্থানীয় এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে টিক্কোপুর গ্রামের বাজারে
গিয়েছিলেন সঞ্জয়ের স্ত্রী। সন্ধেবেলায় বাড়ি ফিরে দেখেন রান্নাঘরে কিছু
একটা রান্না করছেন মদ্যপ স্বামী। প্রথমে বিষয়টিতে গুরুত্ব না দিলেই পরে
কপালে ওঠে তাঁর।
তিনি দেখেন, মানুষের একটি হাত ও আঙুল রয়েছে কড়াইতে। আর সেটি ভাজছে তার
স্বামী। এই দৃশ্য দেখার পরেই আতঙ্কে চিৎকার শুরু করেন তিনি। তারপর
রান্নাঘরের মধ্যে স্বামীকে আটকে রেখে প্রতিবেশীদের খবর দিয়ে সোজা চলে যান
স্থানীয় থানায়। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মীদের সমস্ত ঘটনার কথা খুলে বলেন।
এরপর তার সঙ্গে গিয়ে বাড়িতে থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা আরসি শর্মা জানান, স্থানীয় শ্মশানে পড়ে থাকা মানুষের মৃতদেহ থেকে মাংস কেটে একটি পলিব্যাগে করে বাড়িতে এনেছিল সঞ্জয়। তারপর তা দিয়ে রাতের খাবার তৈরি করছিল। তার স্ত্রী সেটা দেখতে পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন। পরে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে মানুষের মাংস পাওয়া যায়।