সিএনআই নিউজ : বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ভিসি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে চাকরিচ্যুৎ করার দাবি জানিয়েছেন বেরোবি শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্যাম্পাসের শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বরে ভিসিকে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত ও স্বেচ্ছাচারী’ উল্লেখ করে ভিসিবিরোধী শিক্ষকদের সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদের টাঙ্গানো ‘ভিসির হাজিরা খাতা চুরি, স্মারকলিপি-ব্যানার’ অপসারণের প্রতিবাদে এবং ক্যাম্পাসে ভিসির উপস্থিতি ও সাক্ষাতের দাবিতে মানববন্ধন করেন। সেখানে এই দাবি জানানো হয়।
আন্দোলনরত ভিসিবিরোধী শিক্ষকরা জানান, নিয়োগে স্বার্বক্ষণিক উপস্থিতির শর্ত ভেঙে ভিসি ক্যাম্পাসে গরহাজির থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে তারা আন্দোলনে নামলেও এ বিষয়ে ভিসির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ফলে আন্দোলনের অংশহিসেবে ক্যাম্পাসে প্রতীকী হাজিরাখাতা স্থাপনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি তারা পালন করে আসছেন। মঙ্গলবারও ভিসির দরজায় স্মারকলিপি সেঁটে দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। কিন্তু আগের রাতে ভিসির দরজা থেকে ব্যানার ও ক্যাম্পাসের মিডিয়া চত্বরে স্থাপিত প্রতীকী হাজিরা খাতা চুরি হয়ে যায়।
বুধবার এ বিষয়টি রেজিস্ট্রারকে লিখিতভাবে অবগত করার পর রংপুর মহানগর পুলিশের তাজহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হলেও এখন পর্যন্ত জানা যায়নি কারা চুরি করল। শিক্ষকদের অভিযোগ, ভিসির হাজিরা খাতা ও ব্যানার প্রশাসনের পক্ষ থেকেই চুরি করা হয়েছে।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. একেএম ফরিদ উল ইসলাম বলেন, যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি হোয়াইট বোর্ড সংবলিত হাজিরা খাতার নিরাপত্তা দিতে পারে না তারা কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবার নিরাপত্তা দিবে।
তিনি বলেন, ভিসি দিনের পর দিন ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থাকায় অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়কে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিতি ছিলেন শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. তুহিন ওয়াদুদ, অধ্যাপক ড. গাজী মাজহারুল আনোয়ার, নীল দলের সভাপতি ড. নিতাই কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক আসাদ মণ্ডল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দীন, সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কমলেশ চন্দ্র রায়, বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের দফতর সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসনীম হুমাইদা প্রমুখ।
এ দিকে তাদের কর্মসূচি শেষে একই স্থানে ভিসির পক্ষে বিভিন্ন সাফাই গেয়ে সুরক্ষার নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার প্রতিবাদে পাল্টা মানববন্ধন করেন সদ্য যোগদান করা ভিসিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নব প্রজন্ম শিক্ষক পরিষদ।
আহ্বায়ক সুমাইয়া তাহসিন হামিদা অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান আন্দোলনের কারণে অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে ক্যাম্পাস।
সার্বিক বিষয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর বলেন, ব্যানার-বোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে না জানিয়ে করা হয়েছে। হারিয়ে গেলে এর দায় আমার বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নয়।