স্টাফ রিপোর্টার:
মুজিববর্ষ উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের বিশেষ প্রণোদনা এবং ১৪ হাজার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার বাড়িঘর করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ ছাড়া গাজীপুরে শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে এক শ কোটি টাকার শিক্ষা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম।
শুক্রবার গাজীপুরের ঐতিহাসিক রাজবাড়ি মাঠে জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশন আয়োজিত জমজমাট শিক্ষা বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ হাজার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাকে ১৬ লাখ টাকা করে প্রায় ২৩শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে বাড়িঘর করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারা দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ২০১৭ সাল থেকে আমার নিজের নামে ১৫ হাজার শিক্ষার্থী নিয়ে শিক্ষাবৃত্তি চালু করেছি। আজকে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ২৫ হাজার শিক্ষার্থী এখানে এসেছে। মেধাবী এবং গরিব শিক্ষার্থী যারা রয়েছে, তাদের জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এ বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।
নগরের একজন শিক্ষার্থীও অর্থাভাবে উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে না। এ ছাড়া এ বছর চীন, কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে ৫৬০ জন শিক্ষার্থীকে বিনা খরচে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার জন্য এই সিটিতে ৮টি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি মেডিক্যাল কলেজ করা হবে। শিক্ষার জন্য ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
গাজীপুর সিটি মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সভায় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য শামসুন্নাহার ভূইয়া, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন অর রশীদ, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. এমএ মান্নান, ডুয়েটের ভিসি ড. আলাউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন, সাবেক ভিসি আব্দুল মান্নান আকন্দ প্রমুখ।
দুপুরের পর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন বাংলার প্রধান মাহফুজুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তি ও সম্মাননা তুলে দেন। দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী এবং সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর, কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরে টিভি উপস্থাপক আনজাম মাসুদের সঞ্চালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। এতে ভারতের জনপ্রিয় গায়ক সনু নিগমসহ দেশের বরেণ্য সংগীত শিল্পী ও নৃত্যশিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন। এ উপলক্ষে ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠে তৈরি করা হয় বিশাল প্যান্ডেল ও মঞ্চ। জেলা শহরের প্রধানসড়ক আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। ব্যানার-ফ্যাস্টুনে ঢেকে দেওয়া হয় এলাকা। পথে পথে তৈরি করা হয় তোরণ।