সিএনআই নিউজ : অনুসন্ধান আর তদন্তে পার হয়ে গেছে ৯ বছর। বেসিক ব্যাংকের অর্থ কেলেঙ্কারিতে যথেষ্ট প্রমাণ না পাওয়ার কারণেই চার্জশিট দেয়া যাচ্ছে না দুদকের এমন মন্তব্যকে অজুহাত বলছেন দুদকের আইন বিভাগের সাবেক পরিচালক ময়িদুল ইসলাম। কমিশনের সাবেক এ আইন কর্মকর্তা বলেন, সময় নষ্ট করতেই এমন করছে কমিশন। এদিকে, দুর্নীতিবিরোধী সংগঠনগুলো বলছে, আগের কমিশন মামলা করলেও বর্তমান কমিশন কোনভাবেই দায় এড়াতে পারে না।
চার বছর ধরে স্থবির হয়ে আছে বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির বিচারিক প্রক্রিয়া। বিভিন্ন মহলে তর্ক-বিতর্ক চললেও শিগগিরই আলোর মুখ দেখছে না সে বিষয়টিও স্পষ্ট। তবে ব্যর্থতার দায় নিতে নারাজ কমিশন।
দুদক সচিব বলেন, আমাদের তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করছে। এর দায় দায়িত্ব কমিশন বা চেয়ারম্যানের ওপর বর্তায় না।
২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু। ২০১৪ সালে দুদকে পাঠানো বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে, নিয়ম ভেঙে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়ার কথা উল্লেখ করা হলেও রহস্যজনক কারণে ৫৬টি মামলার কোনোটিতেই নাম নেই আব্দুল হাই বাচ্চুর।
দুদক আইনে সর্বোচ্চ ১৮০ দিনের মধ্যে মামলার তদন্ত শেষ করার বিধান রয়েছে। সময়ের সেই বাধ্যবাধকতা না মানার কারণ হিসেবে ঋণের অর্থ ছাড়ের পর কোথায় বিনিয়োগ হয়েছে তা খুঁজে না পাওয়ার অজুহাত ও অভিযোগপত্র দাখিল না করাকে অযৌক্তিক বলছেন দুদকের আইন বিভাগের সাবেক পরিচালক ময়িদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, দুদকে অনেক মামলা রয়েছে, যেখানে উল্লেখ আত্মসাতের টাকা আসলে কোন কাজে ব্যবহার করা হয়েছে সেটা দুদকের তদন্তে উঠে আসেনি। কিন্ত ওই মামলায় অনেকের সাজা হয়েছে। এবং টাকাগুলো ও উদ্ধার করতে পারেনি দুদক।
এদিকে আগের কমিশনের আমলের মামলা হলেও এ দায় এখনকার কমিশনকে নিতে হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বদিউল আলম ইফতেখার বলেন, কর্মকর্তাদের অনেক ক্ষেত্রে পরিবর্তন করা হয়েছে। আগের কমিশনের যদি ভুল থাকে। সেটা নতুন কমিশনের সংশোধন করা প্রয়োজন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কমিশনের এ ব্যাপারে দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তদন্ত কর্মকর্তা কমিশনেরই অংশ। এ দায় কিন্ত দুদককেই নিতে হবে। দুদককেই স্পষ্টতা প্রমাণ করতে হবে।
২০১০ সালে অনুসন্ধান শুরুর পর ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।