
আবু বকর সিদ্দিক, বগুড়া : বগুড়ার শেরপুরের বিশ্বা গ্রামে এক স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার ১১দিন পর গত (২৬ জুলাই) শুক্রবার রাতে শেরপুর থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষিতার পিতা। এ ঘটনায় ধর্ষক দীপক কুমার তালুকদার ও পিযুষ তালুকদার কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। জানা যায়, উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বিশ্বা পূর্বপাড়া গ্রামের মসলা ব্যবসায়ী স্বপন কুমার তালুকদারের মেয়ে বিশ্বা দ্বি-মুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী গত ১৭ জুলাই স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে আসে। ওইদিন বেলা সাড়ে ৪ টার দিকে একই গ্রামের তার বান্ধবীর বাড়িতে যাওয়ার পথে নিজের চাচাত ভাই দীজেন্দ্রনাথ তালুকদারের ছেলে দীপক কুমার তালুকদার কৌশলে ওই ছাত্রিকে (ছোট বোন) ডেকে তার ঘরের মধ্যে নিয়ে যায়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তার সহযোগী গিরেন্দ্রনাথ তালুকদারের ছেলে পিযুষ তালুকদার (১৯) ও অমল চন্দ্র সরকারের ছেলে সবুজ কুমার সরকার (২০) ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই ছাত্রিকে পালাক্রমে ধর্ষন করে। এ ঘটনার কথা তার বাবা-মাসহ আত্মীয়স্বজনকে না বলার জন্য নানা ভয়ভীতি দেখায়। পরে ওই ছাত্রি তার বাড়িতে গিয়ে শুধু কান্নাকাটি করতে থাকে। কান্নাকাটি দেখে জ¦ীন ধরেছে বা উপড়ি রোগ হয়েছে মনে করে তার পরিবার গত কয়েকদিন যাবত তাকে কবিরাজ দেখার পাশাপাশি মানসিক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। এ সময় ওই কিশোরী ছাত্রি তার মা ববিতা রানীর কাছে ঘটনার বিস্তারিত খুলে বলে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় ১১ দিন পর ধর্ষিতার পিতা স্বপন কুমার বাদি হয়ে ৩ ধর্ষকের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার রাতে শেরপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষনের সাথে জড়িত দীপক কুমার তালুকদার ও পিযুষ তালুকদারকে গ্রেফতার করেন।
এ প্রসঙ্গে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ধর্ষনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯ (৩) ৩০ দন্ডবিধিতে মামলা রুজ্জু করা হয়েছে এবং অপর আসামীকে গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.