টি এম কামাল : অনিয়মই যেখানে নিয়মের তকমা পেয়ে বসে
আছে সেই প্রতিষ্ঠানের নাম কাজিপুর পৌরসভা। লোকজনের
মাঝে এখন এই প্রতিষ্ঠান অনিয়মের আতুরঘর হিসেবে
পরিচিতি লাভ করেছে। দেড় যুগ পূর্বে মন্ত্রী মোহাম্মদ
নাসিমের একান্ত প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত এই সেবামূলক
প্রতিষ্ঠানটি জনগণের সেবা দিতে নানাভাবে ব্যর্থতার পরিচয়
দিয়ে চলেছে।
সরেজমিন পৌরসভা ভবনে গিয়ে দৃশ্যমান নানা অব্যবস্থাপনা
চোখে পড়েছে। প্রতিবছর পৌরসভার বাজেটে শোভা বর্ধনের এবং
বিশেষ দিনগুলোতে আলোকসজ্জাকরণের জন্যে ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়।
কিন্তু তার সঠিক ব্যবহার হয়না। পৌরভবনের সামনে বৃষ্টির এক
হাঁটু পরিমাণ পানি জমে আছে। আর আগাছা দখল করে নিয়েছে
পুরো ভবনের চারপাশ। ভবনের সামনেই দীর্ঘদিন যাবৎ বালি
স্তূপাকারে রাখা হয়েছে। পৌরভবনে বাগানের জন্যে বরাদ্দ রাখা হলেও
তার ছিটেফোটাও চোখে পড়েনি। সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে
সরকার প্রদত্ত কোটি টাকার অনেক সস্পদ। দুইদিকে ব্যবহারযোগ্য
একেবারে নতুন একটি ড্রেজার মেশিন পড়ে রয়েছে বাইরে। তার
একটি অংশ খুলে পৌরভবনের একেবারে সামনে ফেলে রাখা হয়েছে।
বৃষ্টিতে ভিজে আর রোদে পুড়ে তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দুটো
ট্রাকসহ আরও একটি ড্রেজার মেশিন অযতেœ বাইরে পড়ে থাকায়
নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
পৌরভবনের নামফলকটিও করে দিয়েছে গ্রামীণ ফোন। সেই ফলকের
সামনে যে সিটিজেন চার্টারটি রয়েছে সেখানে জনগনের
কোন কথাই লেখা নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কমিশনার
জানান, অনেক আগেই এই চার্টারের লেখা মুছে গেছে। কিন্তু
মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,
প্রতিবছর পৌরসভার যে বাজেট পেশ করা হয় সেখানে সাধারণ
জনগণের কোন অংশগ্রহণ থাকে না। এছাড়া পৌরসভার টেন্ডার
এবং আদায়কৃত ট্যাক্স নিয়েও অনেক ঝামেলা হয় বলে একাধিক
সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র হাজি নিজাম উদ্দিন বলেন. কোন অনিয়ম
কোথাও হয়নি। কতিপয় লোক সুবিধা না পেয়ে এসব করছে।