টি এম কামাল : আজ মে মাসের দ্বিতীয় রোরবার-বিশ্ব মা দিবস। মা কথাটি
অতি ছোট্র কিন্তু যেন ভাই/মায়ের চেয়ে নাম যে মধুর, ত্রিভুবনে আর নাই। কালে
কালে একটি কথাই চিরায়ত সত্যিতে পরিণত হয়েছে, আর সেটি হচ্ছে-
পৃথিবীতে মা শব্দের চেয়ে অতি আপন শব্দ আর দ্বিতীয়টি নেই। সন্তানের কাছে
সবচেয়ে আপন, সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে তার মা। মায়ের গর্ভে সন্তান যেমন রক্ত শুষে
নিরাপদে ধীরে ধীরে বড় হয়, তেমনি জম্মের পরও তিল তিল করে মা-ই কেবল তার নাড়ি
ছেঁড়া ধনকে তিলে তিলে বড় করে তোলেন আগামীর সম্ভাবনাময় একজন মানুষ
হিসেবে।
আজ রোরবার আন্তর্জাতিক বিশ্ব মা দিবস ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের
কাজিপুর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়
আয়োজনে একটি বিশাল র্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পরিষদের
হলরুমে ভাইস চেয়ারম্যান দীন মোহাম্মদ বাবলু মাস্টারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাপলা খাতুন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা
ফাহিমা আল আশরাফ, দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা হাফছা খাতুন, তথ্য সেবা
কর্মকর্তা মৌসুমী বসাক, মাইজবাড়ী ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি হয়রত
আলী প্রমুখ।
বিশ্ব মা দিবসের ইতিহাস শতবর্ষের পরনো। যুক্তরাষ্ট্রে আনা জারভিস নামের এক
নারী মায়েদের অনুপ্রাণিত করার মাধ্যমে দরিদ্র জনগোঠীকে স্বাস্থ্য সচেতন করে
তুলতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। এ কাজের মধ্য দিয়ে তিনি মায়েদের কর্মদিবসের
সূচনা করেন। ১৯০৫ সালে আনা জারভিস মারা গেলে তার মেয়ে আনা মারিয়া
রিভস জারভিস মায়ের কাজকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সচেষ্ট হন। ওই বছর তিনি তার
সান ডে স্কুলে প্রথম এ দিনটি মাতৃদিবস হিসেবে পালন করেন। ১৯০৭ সালের
এক রোববার আনা মারিয়া স্কুলের বক্তব্যে মায়ের জন্য একটি দিবসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা
করেন। ১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা
দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এভাবেই শুরু হয় মা দিবসের যাত্রা।
সেই বিবেচনায় বাংলাদেশে এ দিবসটি ঘটা করে পালনের ইতিহাস খুব বেশি
দিনের নয়। যদিও মাকে সম্মান, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা দেখাতে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ
ঠিক করে নেওয়ার যুক্তি অনেকের কাছেই সেভাবে গ্রহণ যোগ্য নয়। তবে
অনেকেই মনে করেন মাকে সম্মান দেখাতে, তাকে গভীরভাবে স্মরণ করতে
আন্তর্জাতিকভাবে পালিত আন্তর্জাতিক মা দিবসের গুরুত্ব রয়েছে।