শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কাজিপুরে চরাঞ্চলে রবি মৌসুমের মসলা জাতীয় ফসলের আবাদ বেড়েছে আফ্রিদির সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন উড়িয়ে দিলেন বাবর নির্বাচনে কে কার আত্মীয় ইসির তা দেখার বিষয় না নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘ইসলামিক মূল্যবোধ লঙ্ঘন’, ২ টিভি চ্যানেল বন্ধ করল তালেবান বিএনপি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয় : ওবায়দুল কাদের মুস্তাফিজের বিকল্প ক্রিকেটার নিয়ে নিল চেন্নাই? মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোট করতে মানা কাজিপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র স্বতন্ত্রভাবে বাংলাদেশকে দেখা বন্ধ করেছে কবে, জানালেন আসিফ নজরুল

সাহরি ও ইফতারে কী খাবেন

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট সময় : 1:56 am, শুক্রবার, ১০ মে, ২০১৯

সিএনআই নিউজ : সাহরিতে এমন ধরনের খাদ্য গ্রহণ করা উচিত যাতে খাদ্য হজমের পর অনেক সময় ধরে রোজাদারকে শক্তির জোগান দিয়ে কর্মচাঞ্চল্যতা বজায় রাখতে পারে। আমাদের দেশে এ বছর রোজার মোট সময়কাল প্রায় ১৫ ঘণ্টা। তাই সাহরিতে এমন ধরনের খাদ্য গ্রহণ করা উচিত যাতে খাদ্যবস্তু হজমের পর অনেক বেশি সময় ধরে রোজাদারকে শক্তির জোগান দিয়ে কর্মচাঞ্চল্যতা বজায় রাখতে পারে এবং তা যেন স্বাস্থ্যসম্মত হয়। যেন পরিপাকতন্ত্রের ওপর কোনো রূপ বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি না হয়। এ ছাড়া সাহরিতে মাছ, মুরগির মাংস, ডাল, সবজি ও ফলমূল এবং দুধ-দধি গ্রহণ করা স্বাস্থ্যসম্মত ও রোজা পালনের সঙ্গে মানানসই। সাহরিতে ফলমূল বেশি গ্রহণ করলে তা সকাল বেলার অলসতা দূর করে রোজাদারকে কর্মক্ষমতা দান করে। সাহরির পর অনেকেই ঘুমাতে বেশি পছন্দ করেন এবং অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমিয়েই কাটান, এটা মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয় বরং সাহরির পর বেশি সময় ধরে না ঘুমানোই উত্তম। সাহরির সময় চা বা কফি অথবা সফট ড্রিকংস গ্রহণ না করাই উত্তম। কারণ এসব খাদ্যবস্তু গ্রহণের ফলে রোজাদারের প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে শরীর অতি শিগগিরই পানিশূন্য হয়ে যেতে পারে। কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাদ্যবস্তু গ্রহণের ফলে তা কর্মদক্ষতা কমিয়ে ওজন বৃদ্ধি করে, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে থাকে। অনেকেই সাহরিতে অতিভোজন করে থাকেন এই ভেবে যে, অনেক সময় অভুক্ত থাকতে হবে, কিন্তু সাহরিতে বেশি পরিমাণে খাদ্য গ্রহণের ফলে দিনের বেলায় ক্ষুধার অনুভূতি বেশি হয়ে থাকে এবং হজমের সমস্যা দেখা দিয়ে ব্যক্তি পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়ে যেতে পারেন। সাহরিতে ডিম ও মাংস পরিমিত মাত্রায় গ্রহণ করা যাবে তবে গুরুপাক ও অত্যধিক মসলাসমৃদ্ধ খাদ্য না খাওয়াই উত্তম, এতে হজমের সমস্যা ও পেটে গ্যাসের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। এদিকে ইফতারে অতি তাড়াতাড়ি বেশি খাদ্য গ্রহণ এক ধরনের জটিলতার সৃষ্টি করে থাকে। যেমন- বুকজ্বালা, ঢেঁকুর ওঠা, পেটে অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া ইত্যাদি। ইফতারিতে বেশি করে তরল খাদ্য যেমন- ফলের রস, দুধ, দই, ফলের সরবত ও ডাবের পানি, বেশি পরিমাণে পানি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা স্বাস্থ্যসম্মত। রমজান মাসে রোজা রাখার ফলে অনেকেই আমরা নিজেদের পছন্দমাফিক ইফতার যেমন- মিষ্টি, খিচুড়ি, পায়েস, সেমাই, হালিম, ইত্যাদি খাবারের প্রতি ঝুঁকে পড়ি, এটা মোটেও উচিত নয়, তার মানে এই নয় যে, ইফতারে আমরা মজাদার খাদ্য গ্রহণ করব না, খাবার অবশ্যই স্বল্পমাত্রায় গ্রহণ করতে হবে। তাই রোজার এ সময় স্বাস্থ্যের দিকটা খেয়াল রাখতে হবে। যেন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে রোজার নিয়মকানুন পালন করতে পারি। ডা. এম শমশের আলী, কার্ডিওলজিস্ট, সিনিয়র কনসালটেন্ট (প্রা.), ঢাকা মেডিকেল ,কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই রকম আরো জনপ্রিয় সংবাদ
© All rights reserved © 2017 Cninews24.Com
Design & Development BY Hostitbd.Com