
সিএনআই নিউজ :
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)’র ৬নং লক্ষ্য বাস্তবায়নে দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পূর্ব এশিয়া ও ডেল্টা কোয়ালিশনভুক্ত অঞ্চলের দেশে কর্মকৌশল খুঁজে বের করতে ঢাকা পানি সস্মেলন ২০১৭ বিরাট অবদান রাখবে। পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ শনিবার বিকেলে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে পানি সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বের প্রথম দিনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এই কথা বলেন।
পানি সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পূর্ব এশিয়া ও ডেল্টা কোয়ালিশনভুক্ত অঞ্চলের ২৩টি দেশের মন্ত্রী- প্রতিমন্ত্রীসহ ৮৩ জন বিদেশী প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন বলে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের পানি বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটির একজন সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ঢাকায় পানি সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশসহ এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পানির চাহিদা ও সরবরাহের ব্যবধান কমিয়ে আনতে এ সম্মেলন বিশেষ অবদান রাখবে। এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের তিন-চতুর্থাংশের বেশি দেশ গুরুতর পানি দূষণ সমস্যার মোকাবিলা করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, বিশ্বব্যাপী নিরাপদ পানির সহজলভ্যতা দিন দিন সংকুচিত হয়ে আসছে। নদীর পানি দুষণ কমাতে বাংলাদেশ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে এসডিজির লক্ষ্য অর্জন সফল হবে।
ব্রিফিংকালে এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম বলেন, ঢাকায় পানি সম্মেলন দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পূর্ব এশিয়া ও ডেল্টা কোয়ালিশনভুক্ত অঞ্চলের দেশগুলোর নীতি-নির্ধারকগণ এসডিজি’র লক্ষ্য -ছয়সহ এর সাথে যুক্ত অন্যান্য লক্ষ্য বাস্তবায়নের দিক-নির্দেশনার পথ খুঁজে পাবেন।
এর আগে আজ বিকেলে হোটেল সোনারগাঁওতে পানি সম্মেলনকে সামনে রেখে ঢাকা পানি সম্মেলন ২০১৭ এর অংশ হিসেবে দশম শেরপা পানি বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের এক সভায় ডেল্টা কোয়ালিশনভুক্ত অঞ্চলের ঢাকা ঘোষণা নিয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় লক্ষ্য করা হয়, সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে খাবার পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য পরিচর্যার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপদ পানির তীব্র অভাব রয়েছে এবং এ সমস্যা মোকাবিলায় একটি সমন্বিত রোডম্যাপ প্রণয়নের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
দু’দিনব্যাপী ঢাকা পানি সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে টেকসই উন্নয়নে পানি। সম্মেলনে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন, পানির গুণগতমান, ব্যবহার এবং সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনার উপর ৪টি কারিগরি আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। এ আলোচনা পর্বসমূহে ৮টি সুনির্দিষ্ট বিষয়ের উপর বিশেষজ্ঞ পরামর্শ ও মতামত গ্রহণ করা হবে। সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সাথে সুপারিশক্রমে আগামীকাল “ঢাকা পানি ঘোষণাপত্র ” গৃহীত হবে।
প্রেসব্রিফিংকালে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহম্মদ খানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সাব্বির/সিএনআই নিউজ/৩৫২