স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে মিলে সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রের সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আসলাম চৌধুরী ছাড়াও আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের বড় নেতারাও জড়িত।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার সরকারি বাসায় সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
মোসাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকায় আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার গুলশান থানায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করে ডিবি পুলিশ।
এর পরদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, মোসাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে বিস্ময়কর তথ্য মিলেছে। আসলাম চৌধুরী একা নন। তার সঙ্গে আরও অনেকেই আছেন। অন্য দলের নেতারাও আছেন, কয়েকজনের নাম চলে আসবে, আমরা মনে করছি। মোসাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রের আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলেও দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেখেন, সমস্ত ক্রিয়া-প্রক্রিয়ায় টাকা-পয়সার লেনদেন থাকে। নিশ্চয়ই এটা আছে। এ পর্যন্ত তদন্তে বেশ অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা অনেক কিছুই পেয়েছি, যা হয়তো অনেকেরই বিস্ময় হবে। আমরা সেই জায়গাটিই যাব। এখন আমাদের অনুসন্ধানটা করে নিই। তদন্ত শেষে আমরা জানাব। এদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মানুষ মারার ঘটনাকে ‘কনট্যাক্ট কিলিং’ আখ্যা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
একটি চিহ্নিত মহল এই হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব হত্যার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য একই সূত্রে গাঁথা। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়।
এ ঘটনার জের ধরে গত ১৫ মে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড ৩শ’ ফিট সড়ক থেকে আসলাম চৌধুরী, তার সহকর্মী মো. আসাদ ও গাড়িচালক আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে আসলামকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে পরের দিন ৭ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র দ্রোহ মামলা হয়েছে।










