বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ঐকমত্য কমিশন নিয়ে যে অভিযোগ সালাহউদ্দিনের জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের সুযোগ নেই: আমির খসরু এনসিপি কোন জোটে যাবে, যা বললেন নাহিদ আ.লীগ হচ্ছে ডেথ চ্যাপ্টার: হাসনাত আবদুল্লাহ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের যুদ্ধের জন্য আরো ২-৩ বছর ইউরোপের সমর্থন চান জেলেনস্কি নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে দ্রুত বডি-ওর্ন ক্যামেরা ক্রয়ের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রকৃত বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবে সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা  আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের পর দেউলিয়া হয়ে গেছে: মাহফুজ আলম রায়গঞ্জে যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে— ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার’।   ‎

রাজধানীতে মাত্র ৩০ টাকায় হোটেল ভাড়া!

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট সময় : 6:21 pm, শুক্রবার, ২৭ মে, ২০১৬

রাজধানী ঢাকায় যেখানে রিকশায় উঠলেই দিতে হয় ২০ টাকা। সেই ঢাকাতেই মাত্র ৩০ টাকায় হোটেলে থাকা! পাঠক আপনাদের কাছে বিষয়টি অসম্ভব মনে হলেও রাজধানীর বুড়িগঙ্গার তীরে দীর্ঘ দিন ধরেই চলছে এই ব্যবসা। নদী তীরে ওয়াইজঘাটে অন্তত এমন চারটি হোটেল পাবেন যেখানে এই অল্প টাকায় রাত কাটানোর সুযোগ রয়েছে। আর এই হোটেলগুলো সবই ভাসমান। বুড়িগঙ্গার তীরে গেলেই দেখা মিলবে এই হোটেলগুলোর। পুরনো বা অকেজো লঞ্চগুলোকেই ভাসমান হোটেল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে হোটেল হিসাবে।

প্রায় ৬০ বছর ধরে কম দামি এই হোটেলগুলো সেবা দিয়ে যাচ্ছে নগরবাসীকে। তবে হোটেলগুলো তেমন পরিষ্কার-পরিছন্ন নয়। এখানে সাধারণ কক্ষের থাকার খরচ ৩০ টাকা। আর কেবিনে খরচ পড়ে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা।

hotelpic-1_114273_0

এই হোটেলগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ফরিদপুর মুসলিম হোটেল। হোটেল মালিক মোস্তফা মিয়া বলেন, এখানে অনেক কম টাকায় থাকা যায়। আমরা গ্রাহকদের লকার সুবিধাও দিয়ে থাকি। যাতে করে তারা তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র রাখতে পারেন।

দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে যারা ঢাকায় ব্যবসায়িক কাজে আসেন এবং সদরঘাট এলাকায় ব্যবসা করেন তারাই মূলত এসব হোটেলে থাকেন। এখানে এমন ব্যবসায়ীও আছেন যারা অনেক বৎসর ধরে এসব হোটেলে আছেন।
সিরাজ মাতব্বর নামে শরীয়তপুরের এক ফল ব্যবসায়ী সুদীর্ঘ ৪০ বছর ধরে ভাসমান হোটেলে থাকছেন।

সিরাজের মত কমপক্ষে আরও ১৫ জন ব্যবসায়ী এসব হোটেলে পাঁচ থেকে ২০ বছর ধরে আছেন।

সিরাজ মাতব্বর বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার আগেই ঢাকায় এসেছিলাম। ওই সময় বুড়িগঙ্গায় কমপক্ষে ৫০টি ভাসমান হোটেল ছিল।এগুলো ছিল সুবিধাজনক এবং স্বস্তা। আমার মত লোকদের জন্য ঢাকায় থাকার সেরা জায়গা। তাই আমি এখানে আবার ফিরে এসেছি।

পঞ্চাশের দশকের দিকে বুড়িগঙ্গায় প্রথম ভাসমান হোটেল চালু হয়। তখন মূলত হিন্দু ব্যবসায়ীরা নদীপথে ঢাকায় আসলে এখানে থাকতেন। ধীরে ধীরে এখানে হোটেলের সংখ্যা বাড়তে থাকে। কিন্তু ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ভাসমান হোটেলের সংখ্যা কমে পাঁচে চলে আসে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই রকম আরো জনপ্রিয় সংবাদ
© All rights reserved © 2017 Cninews24.Com
Design & Development BY Hostitbd.Com